রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে অনন্ত শরণে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক কোচবিহার সফরে একবার অনন্ত মহারাজের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো তৃণমূলের কোচবিহার জেলার নেতাদের মাধ্যমে বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয় অনন্ত মহারাজের কাছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও কারণে সেই বৈঠক হয়নি। এরপরই তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মেয়ে পাপিয়া ঘোষকে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পেয়েই বৃহস্পতিবার মহারাজের দরবারে হাজির হন পাপিয়া। প্রকাশ্যে পাপিয়া জানিয়েছেন, কোচবিহারে প্রচার শুরুর আগে মহারাজের আশীর্বাদ নিতে এসেছিলেন তিনি। এর আগেও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ নির্বাচনে মহারাজ তাঁদের আশীর্বাদ করেছিলেন বলে জানান তিনি। যদিও সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে নির্নায়ক রাজবংশীদের সমর্থন পেতেই মহারাজের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। মহারাজ তৃণমূলকে কতটা সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেই রাজবংশী ভোট একচেটিয়া পেয়ে এসেছে বিজেপি। এর পেছনে অনন্ত মহারাজের সমর্থন একটা বড় কারণ বলে মনে করে অনেকেই। সেদিক থেকে অনন্ত মহারাজও বারবার পৃথক পরিচিতির দাবিতে সরব হয়েছেন। উত্তরবঙ্গ যেকোনও সময় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন অরাজনৈতিক মঞ্চেও মহারাজকে দেখা গিয়েছে। তবে তৃণমূলকেও তিনি অচ্ছুৎ করে রাখেননি। তলে তলে তৃণমূলের অনেক নেতাই মহারাজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। মুখ্যমন্ত্রীও বিভিন্ন সময় নেতাদের দিয়ে মহারাজকে উপঢৌকন পাঠান। সেই সম্পর্কের সূত্রেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে এবার অনন্ত মহারাজের সাহায্য চায় তৃণমূল। তবে বিজেপিকে এড়িয়ে মহারাজ এক্ষেত্রে তৃণমূলকে কতটা অক্সিজেন দিতে পারে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।