শিলিগুড়ি: ভুয়ো লটারির টিকিটের আমদানি হচ্ছিল কোথা থেকে? উত্তর খুঁজতে সেই তদন্তে নেমে চক্ষু ছানাবড়া হল প্রধাননগর থানার পুলিশের। ভুয়ো ওই লটারির টিকিট (Fake lottery ticket) আসত দিল্লি থেকে, তাও আবার বিমানে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় চক্রের সদস্য হিসেবে মাথাভাঙ্গা থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে প্রধাননগর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুমন কর। সে শিলিগুড়িতে (Siliguri) গ্রেপ্তার হওয়া মাথাভাঙ্গার বাসিন্দা জয়দেব মহন্ত ও গণেশ বর্মনের সঙ্গী ছিল।
কীভাবে কাজ করত এই চক্র? জানা গিয়েছে, প্রথমে কোন এলাকায় ‘অপারেশন’ চালানো হবে, তার জায়গা ঠিক করে নিত চক্রটির সদস্যরা। একটা বড় সময় ধরে এই চক্র নিজেদের জাল ছড়িয়েছিল কোচবিহারের গ্রামীণ এলাকাগুলোতে। তারপর তাদের লক্ষ্য হয় শিলিগুড়ি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কোন এলাকার কোন কাউন্টারে লটারির টিকিট লেগেছে, সেই খবর পৌঁছে যেত দিল্লিতে। তারপর সেখান থেকে তথ্য যেত ওই চক্রের হাতে। যদিও পুলিশের প্রথমদিকে অনুমান ছিল, যখন যে এলাকায় এই চক্র কাজ করছে সেখানেই ভুয়ো লটারির টিকিট বানিয়ে নিচ্ছে। যদিও পরবর্তীতে পুলিশ জানতে পারে, স্থানীয় ক্ষেত্রে তাদের কাছে লটারির টিকিট তৈরির কোনও মেশিনারিই ছিল না। বিমানে করে যাবতীয় তথ্য সহ ভুয়ো লটারির টিকিটও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে আসত ওই চক্রের সদস্যদের কাছে। অন্যদিকে, দিল্লিতে কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে শিলিগুড়ি স্টেট গেস্টহাউস সংলগ্ন এলাকায় একটি টিকিট কাউন্টারে কুড়ি হাজার টাকার একটি টিকিট লেগেছিল। এরপর জয়দেব এবং গণেশ গিয়ে ওই টিকিট কাউন্টারে বসা ব্যবসায়ীর কাছে ওই নম্বরের একটি টিকিট দেখিয়ে টাকা চেয়েছিল। ওই টিকিট কাউন্টারে বসা ব্যক্তি যদিও বুঝে যান, ওই টিকিট জাল এবং হাতেনাতে ওই দুই জনকে ধরে নেন। কারণ ওই এলাকা থেকে আরেক টিকিট কাউন্টারে কয়েকদিন আগে দশ হাজার টাকার একটি টিকিট লেগেছিল। ওই দুই ব্যক্তি এসে ওই নম্বরের টিকিট দেখিয়ে টাকা নিয়ে চলে গিয়েছিল। পরে দেখা গিয়েছিল, টিকিটটি ভুয়ো।