শিলিগুড়ি: ভুয়ো খাদ্য সামগ্রীতে ছেয়েছে গোটা বাজার! সম্প্রতি ভক্তিনগর থানায় এক ন্যুডলস কোম্পানির একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে এমনই তথ্য সামনে এসেছে। ওই নুডলস কোম্পানির ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টের অভিযোগ, তাদের ট্রেডমার্ক নকল করে নকল নুডলস বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ।
শুধু ওই কোম্পানির প্রোডাক্টই নয়, বিভিন্ন নামজাদা খাদ্য সামগ্রী কোম্পানির-নামেও ভুয়ো খাদ্য সামগ্রী বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টা নজরে পড়েছে ব্যবসায়ীদের। যা রীতিমত আশঙ্কার বলে জানাচ্ছেন খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় মুহুরি। তিনি বলছেন, ‘ভেজাল খাদ্য পণ্য ছড়ানোটা রীতিমত আশঙ্কার। কারণ এরসঙ্গে মানুষের জীবন ছড়িয়ে রয়েছে।’ দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলছেন, ‘আমাদের হেলথ ডিপার্টমেন্টের ফুড সেফটি উইং-ই রয়েছে। ডেজিগনেটেড অফিসার, ফুড সেফটি অফিসাররা রয়েছেন। তাঁরা নিরন্তরভাবে এটা দেখছেন। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জমা দিলে আমরা সেটা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, আগে ডিস্ট্রিবিউটারদের মাধ্যমে সেলসম্যানরা দোকানগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানির খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিত। এখন অনলাইন ডেলিভারির কারণে সেলসম্যানদের মধ্যে সরাসরি কোম্পানি থেকে দোকানে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। সেলসম্যানদের মধ্যেই একটা অংশ, এই সুযোগেই মুনাফার লোভে কোনও কোম্পানির খাদ্যসামগ্রী বা পণ্য সামগ্রীর সঙ্গে ভুয়ো খাদ্যসামগ্রী বা পণ্য মিশিয়ে নিচ্ছে বলে অনুমান। অভিযোগকারী নুডলস কোম্পানির সিএনএফ এজেন্ট রাজা গুপ্তের অবশ্য মত, ‘ডিস্ট্রিবিউটারদের একটা অংশও এই অসাধু চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।’ যদিও এরজন্য যাদের নামে ভুয়ো খাদ্য বা পণ্য সামগ্রী বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে, ওই কোম্পানিগুলোকে নিজেদের ভুয়ো জিনিস চিহ্নিতকরণের জন্য এগিয়ে আসতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছেন বিপ্লব রায় মুহুরি। তিনি বলেন, ‘কোনও কোম্পানির নামে খাদ্য বা পণ্য সামগ্রী এলে, সেটা ভুয়ো কিনা, সবসময় বোঝার ক্ষমতা ব্যবসায়ীদের থাকে না। সাধারণ ক্রেতাদের ওই ক্ষমতা আরও নেই। তাই এব্যাপারে কোম্পানিগুলো সজাগ না থাকলে, সত্যিই মুশকিল।’