ধূপগুড়ি: পাহাড় সমতলজুড়ে বৃষ্টি। যার জেরে প্রায় সব নদীতেই জলস্ফীতি হয়েছে। আর এতেই নদী ভাঙনে কৃষি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে কৃষি জমি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় রুটি রোজগার নিয়ে আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, গত কয়েক বছর প্রচুর জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এবছরও বর্ষার শুরুতেই কৃষি জমি নদীভাঙনের শিকার হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তুলিন কুমার শর্মা জানায়, প্রশাসনের কোনও নজর নেই। বাঁধ ছিল সেটাও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৮ বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই কাজীপাড়া গ্রামে দিদির দূত হিসেবে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক গিয়েছিলেন। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বাসিন্দারা। মন্ত্রী ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সমস্যা মেটানো যায়নি। বর্ষার সময় শুধু নদীর পার্শ্ববর্তী কৃষি জমি নয়, বাড়ি ঘরেও জল ঢুকে পড়ে। সেইসময় রাস্তায় আশ্রয় ছাড়া উপায় থাকে না। একই দাবি অপর বাসিন্দা বীপ্র রায়ের। তাঁর কথায়, একাধিকবার প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। কৃষি জমির পর এবার বাড়ি ঘর নদী যাওয়ার অপেক্ষা। এই সমস্ত আশঙ্কাই রাতের ঘুম কেড়েছে বাসিন্দাদের।
সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে জেলাশাসকের মাধ্যমে একটা অভিযোগ পত্র এসেছিল। সেই ভিত্তিতে এলাকা ঘুরে দেখে ইতিমধ্যেই ডিপিআর তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন আসলেই কাজ করা হবে।