হেমতাবাদ: ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মাথায় লোহার রডের আঘাতে মৃত্যু হল বাবার। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হেমতাবাদ থানার গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য বিষ্ণুপুর গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সত্যচরন বর্মন(৬০)। তিনি পেশায় কৃষক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ ডিসেম্বর বাড়ির অদূরে ওই বৃদ্ধের বোনের বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন সত্যচরণ বর্মন সহ পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় প্রতিবেশী রমণী বর্মন, তার স্ত্রী অনিতা বর্মন, ছেলে উজ্জ্বল বর্মন বাঁশ ও লোহার রড নিয়ে সত্যচরণ বর্মনের ছোট ছেলে নিত্যানন্দ বর্মনের উপর হামলা চালায়। ওই সময় ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার জন্যই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে রেফার করেন কর্তব্যরত শল্য চিকিৎসক সঞ্জয় শেঠ। এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় হেমতাবাদ থানায় অভিযুক্ত রমণী বর্মন, তার স্ত্রী অনিতা বর্মন, তাদের ছেলে উজ্জ্বল বর্মনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী অভিযুক্ত রমণী বর্মনের বাড়িতে ছাগল ঢোকা নিয়ে মাঝেমধ্যে গন্ডগোল করত অভিযুক্তরা। পাশাপাশি জমি নিয়েও বিবাদ ছিল পরিবারের। এই দুই কারণেই আচমকা এই হামলা বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। নিত্যানন্দ বর্মন বলেন, পুরোনো শত্রুতার জেরেই অভিযুক্তরা আচমকা হামলা চালানো হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
হেমতাবাদ থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। রায়গঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’