উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগেই রক্তাক্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)। বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে (BJP) কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। জখমও হয়েছেন আরও ৮ জন বিজেপি কর্মী। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনাচূড়া এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামে। গোটা ঘটনায় অভিযোগ তির রয়েছে তৃণমূলের (TMC) দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। প্রতিবাদে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ডাকা হয়েছে বনধও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত বিজেপি কর্মীর নাম রথিবালা আড়ি। বুধবার রাতে সোনাচূড়ার মনসাপুকুর বাজার এলাকায় পাহারা দিচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় রাত ২টো নাগাদ একদল দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিজেপির কর্মীদের উপর। তারপরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় রথিবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি কর্মীকে। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন পুত্র সঞ্জয় আড়িও। খবর পেয়ে এলাকাবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তড়িঘড়ি করে আহতদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রথিবালাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর পুত্রের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় আহত আরও ৭ জন বিজেপি কর্মীর নন্দীগ্রাম হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে।
এই ঘটনা নিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, ‘ভোটের মুখে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। বুধবার নন্দীগ্রামের সভায় প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।’ যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলেই এই ঘটনা।