উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে শুরু হল যাদবপুরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ। হস্টেল মিলিয়ে মোট ১০টি জায়গা বাছাই করে মোট ২৯ টি জায়গায় ৩ ধরণের ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।ক্যামেরাগুলি পরিচালনার জন্য থাকছে একটি সার্ভার রুমও। কোন ক্যামেরায় কি কি কাজ হবে তা নিয়ে বিস্তারিত জানালেন ক্যামেরা ইনস্টলাররা।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যাচ্ছে, অটোমেটিক নম্বর প্লেট রিকগনেশন ক্যামেরা থাকছে ৬ টি, এই ক্যামেরা দিয়ে দেখা যাবে ক্যাম্পাসে যে যে গাড়ি আসবে এবং বেরোবে সেই গাড়িগুলির নম্বর প্লেটের ছবি তুলবে এই ক্যামেরা। ক্যামেরার মধ্যে থাকা সফটওয়্যার সেই নম্বর পাঠাবে ডেটাবেসে।নম্বরটি সেভ থাকবে সেখানে। সেইসঙ্গে বসছে ২১ টি বুলেট ক্যামেরা। আর এগুলি বসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গেটেই। আর আর এক ধরণের ক্যামেরা থাকবে ডিভাইস তথা সার্ভার রুমে। সেই সার্ভার রুম থেকে গোটা বিষয়টি পরিচালিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ক্যামেরা ইনস্টলেশানের কাজ।আপাতত শুধু গেটে ইনস্টল হচ্ছে সিসিটিভি। পুজোর আগেই সিসিটিভি ইনস্টলেশনের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকার যাদবপুরে ক্যামেরা বসানোর জন্য কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়কে অর্থ দিয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে রাজ্যের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানান হয় যে, ৩৭ লক্ষ ৩৮ হাজার ৪৮৪ টাকা দেওয়া হল ক্যামেরার জন্য। চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাস গেট, হস্টেল গেট, সল্টলেক ক্যাম্পাস গেটে সিসিটিভি নজরদারির জন্য বরাদ্দ করা হল এই অর্থ।
উল্লেখ্য, প্রথম বর্ষের বাংলা বিভাগের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিগত দেড় মাস ধরেই উত্তপ্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এই ঘটনার রাজ্যের শিক্ষামহলে চাঞ্চল্য ছড়ায়।ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে।মৃতের পরিবার অভিযোগ করে ব়্যাগিংয়ের জেরেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ জমা পড়ার পর কলকাতা পুলিশ তড়িঘড়ি তদন্তে নামে।তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং বর্তমান মিলিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় বেশকয়েকজন ছাত্রকে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, সেই দিকটি এখনো তদন্তকারী অফিসারেরা খতিয়ে দেখছেন।