হরিশ্চন্দ্রপুরঃ হাতে বন্দুক নিয়ে নানান পোজ দিয়ে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দুই পরিযায়ী শ্রমিক। দুজনের মধ্যে একজন আবার অপ্রাপ্তবয়স্ক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজনের হাতে রয়েছে বন্দুক। অপরজন আবার মাথায় ঠেকিয়ে রেখেছে বন্দুক। আর এই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ।
ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী গাররা গ্রামের। যাদের হাতে বন্দুক তারা ওই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মুবারক (১৯) এবং মহম্মদ গুলসেদ (১৫)। সম্প্রতি এই দুইজনের বন্দুক হাতে ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ঘটনা চাউর হওয়ার পরেই তাদের প্রোফাইল থেকে সেই রিলসের ভিডিও ডিলিট হয়ে গিয়েছে। ঘটনা জানাজানি হতেই বেগতিক দেখে গ্রাম থেকে বেপাত্তা দুজনেই। বন্দুক হাতে ছবি ও ভিডিও তোলা হয়েছে তাদের বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে। সামাজিক মাধ্যমে এই চিত্র ভাইরাল হতেই এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এই দুই যুবক কোথায় পেয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র? কেনই বা তারা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়েছে? সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন ভিডিও বা রিলস পোস্ট নিছকই অভিনয়, না কি পেছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ? উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। জানা গেছে ওই দুই যুবক মাঝে মাঝে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যায়। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে। যদিও পরিবারের অভিভাবকেরা সাফাই দিয়েছেন হয়তো খেলনা বন্দুক।
মহম্মদ গুলসেদের বাবা মহম্মদ গুলাব বলেন, “দেখুন এটা হতে পারে খেলনা বন্দুক। আমি ঠিক ভাবে জানিনা। হতে পারে কোনও বন্ধুরা দিয়েছে।” মহম্মদ মোবারকের বাবা আকমেল আলী জানান, “আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা। ভিডিওটাও দেখিনি। আমার ছেলে বাইরে কাজ করতে যায়। সে খারাপ কিছুতে যুক্ত নয়।”
স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত আব্দুল কাইয়ুম জানান,” ঘটনাটা যথেষ্ট চিন্তার। এই অল্প বয়সী ছেলেদের হাতে বন্দুক। কিন্তু ওরা সাধারণ পরিবারের ছেলে। বাইরে কাজ করে। বিষয়টা দেখতে হবে কিভাবে হল।” এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দুক আসল না নকল সেটিও দেখা হচ্ছে। ওই যুবকদ্বয়ের খোঁজে পুলিশ গিয়েছিল দুজনের বাড়িতেই। কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি।