ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি: পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের প্রাণ হারালেন উত্তরবঙ্গের চার যুবক। সোমবার গভীর রাতে মহারাষ্ট্রের থানের শাহপুরে সমৃদ্ধি এক্সপ্রেস হাইওয়ের তৃতীয় ধাপের নির্মাণকাজ চলাকালীন ক্রেন চাপা পড়ে কমপক্ষে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে চারজনই জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা। দু’জনের বাড়ি ময়নাগুড়ি ও দু’জন ধূপগুড়িতে থাকতেন।
মৃতদের মধ্যে আছেন ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম ডাউকিমারি ও উত্তর কাঠুলিয়ার বাসিন্দা গণেশ রায় (৩৬) ও প্রদীপ রায় (৩৬)। অন্যদিকে ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চারেরবাড়ি বেতগাড়া স্টেশন পাড়া এলাকার বলরাম সরকার (২৬) ও সুব্রত সরকারেরও (২৩) মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। মঙ্গলবার থানেতে এই চার জনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর সরকারি উদ্যোগেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহগুলি সড়ক পথে জলপাইগুড়ি রওনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার খবরে শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি জানান, মৃতদের পরিবারের পাশে থাকবে সরকার।
বছর সাতেক ধরেই ময়নাগুড়ি চরের বাড়ি এলাকার পাঁচ যুবক বেসরকারি ঠিকাদারি সংস্থার কাজে যুক্ত ছিল। এদের মধ্যে রাতের শিফটে যারা কাজ করছিলেন তাদের মৃত্যু হয়। ময়নাগুড়ির মোট পাচজনের মধ্যে ৩ জনের দিনের শিফটে কাজ করে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ক্যাম্পে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তাই তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। বাকি দু ’ জনের মৃত্যু হয়। ধুপগুড়িতে গণেশ রায়ের পরিবারের লোকেরা থানের অন্য কর্মীদের থেকে গণেশের মৃত্যু সংবাদ শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃত প্রদীপ রায়ের পরিবারের কাছে কোনও খবর পৌঁছয়নি। আগ বাড়িয়ে পুলিশ বা কেউই সেখানে যায় নি। গ্রামবাসীরা ঘটনার ব্যাপারে শুনলেও তারাও চুপ। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, জেলায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেটা তাদের পরিবারের তরফেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ভাবেও মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।