রায়গঞ্জ: রাস্তার মোড় থেকে চায়ের দোকান, সর্বত্র দেখলেই ‘চোর-চোর বলে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর তাই সততার সঙ্গে দল করেও এই অপমান মেনে নিতে পারছেন না। তাই দলের পতাকা খামে ভরে ডাকযোগে দলের জেলা সভাপতির ঠিকানায় পাঠিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সব সংযোগ ছিন্ন করলেন ৪ নম্বর বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের চার তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও তাদের স্ত্রীরা। বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান মনসুর আলী ও প্রাক্তন প্রধান লায়লা খাতুন, মলয় সরকার, প্রশান্ত জালি, উৎপলা বর্মনরা এদিন রায়গঞ্জের জেলা মুখ্য ডাকঘরে এসে দলীয় পতাকা খামে ভরে উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালের ঠিকানায় পাঠান।
দল ছাড়ার মূল কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন পাড়ায়, গ্রামে, চায়ের দোকানে তাদের প্রতিনিয়ত তাঁদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করা হয়। এতে তাদের সম্মাণহানি হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত। তবে আপাতত কোনও দলে যোগ দিচ্ছেননা তাঁরা। প্রাক্তন উপপ্রধান মনসুর আলি জানান, ২০১৪ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনও সম্মান নেই। নেতাদের ঠিক নেই। তাই বীতশ্রদ্ধ হয়ে দলত্যাগ করে জেলা সভাপতির কাছে খামে করে দলীয় পতাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। এই দলে আর কোনো দিন ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
গ্রাম পঞ্চায়েতের আরেক সদস্য প্রশান্ত জালি জানান, আমাদের গ্রামে সানগ্লাস পড়ে ঘুরতে হয়। গ্রামে, পাড়ায়, চায়ের দোকানে সর্বত্র চোর চোর ডাক শুনতে হয়। তাই তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস অবশ্য জানান, ওনারা নাটক করছেন। ওদের সঙ্গে লোক নেই। দলের সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মীরা কেউ পদত্যাগ করছে না।