বালুরঘাট: চিকিৎসার জন্য রাখা মায়ের প্রায় ১৮ ভরি সোনার গয়না আত্মসাতের অভিযোগ (Fraud Case) উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অসুস্থ বাবা। যদিও ছেলের তরফেও বাবার বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ডায়েরি ফার্ম এলাকার বাসিন্দা জগন্নাথচন্দ্র দত্ত (৭২)। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক। স্ত্রী সাধনা দত্ত ও দুই ছেলে, মেয়ে ও তাঁদের পরিবার নিয়ে সংসার জগন্নাথবাবুর। ২০১৩ সালে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়েছেন৷ বর্তমানে পেনশনের উপর সংসার চলে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দুই ছেলে আলাদা সংসার হয়েছে। মাস তিনেক আগে মারা যান স্ত্রী সাধনাদেবী। এদিকে, অবসর নেওয়ার পর বেড়ে গিয়েছে কিডনির সমস্যা। তার সঙ্গে শরীরে বাসা বেঁধেছে একাধিক অসুখ। এই অবস্থায় চিকিৎসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হচ্ছে। পেনশনের টাকায় তা আর সামাল দিতে পারছেন না তিনি। প্রায় বছর খানেক আগে স্ত্রীর ১৮ ভড়ি সোনার গয়না ব্যাংকের লকারে রাখার জন্য ছোট ছেলে অরবিন্দ দত্তকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন জগন্নাথবাবু। পরে যাতে চিকিৎসা করতে সেই সোনা কাজে লাগে তার জন্যই লকারে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অভিযোগ, এখন টাকার প্রয়োজনে সোনা চাইতে গেলে সেই সোনা রাখার কথা অস্বীকার করেন অরবিন্দ। এ নিয়ে বালুরঘাট থানায় (Balurghat Police Station) ছেলে ও বৌমার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অসহায় বাবা। এদিকে, ছোট ছেলেও পালটা বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে খবর।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ছেলে অরবিন্দকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। বালুরঘাট থানার তরফে জানানো হয়েছে, দুই তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।