ফাঁসিদেওয়া: প্রেমিককে আটকে রেখে ২১ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণের (Gang rape) অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে ফাঁসিদেওয়া (Phansidewa) ব্লকের বিধাননগরের জয়ন্তিকা চা বাগানে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার রাতেই প্রেমিক তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এবিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ২ জনকে বিধাননগর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম আবেদ এক্কা (২১) এবং তার সহযোগী ১৬ বছরের এক কিশোর। তারা জয়ন্তিকার চা বাগানের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রের খবর, জয়ন্তিকা চা বাগানের বাসিন্দা বছর ২১-এর এক তরুণের সঙ্গে খড়িবাড়ির বাসিন্দা ওই তরুণীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের মোটরবাইকে চেপে তিনি রবিবার রাতে বিধাননগরে আসেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেদিন প্রেমিককে আটকে রেখে ১৬ বছরের এক কিশোরের উপস্থিতিতে এবং সহযোগিতায় আবেদ তাঁকে ধর্ষণ করে। ওই রাতেই প্রেমিক তরুণ বিষপান করে আত্মঘাতী হন বলে দাবি নির্যাতিতার। সেই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
অন্যদিকে, সোমবার ওই তরুণী বিধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের এদিন গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নির্যাতিতার মেডিকেল টেস্ট হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিন ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আবেদকে ৫ দিনের হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ।
বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন। অভিযুক্ত কিশোরকে জলপাইগুড়ির জুভেনাইল হোমে সেফ কাস্টডিতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ২ জুলাই তাকে দার্জিলিং জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হবে।
অন্যদিকে, ঘটনার পর তরুণের পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। তরুণী এবং তাঁর পরিজনরাও একই দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৫ অগাস্ট হাঁসখোয়ায় এক আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পর ফের এই ব্লকে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।
বিধাননগর তদন্ত কেন্দ্রের ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস বলছেন, ‘অপরাধের পুনর্নির্মাণ করা হবে। ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
