প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ‘আমার বোন কার সঙ্গে সম্পর্কে রইল, কার সঙ্গে কোথায় গেল, না গেল, সেটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা কারুর নেই। কিন্তু এ দিন সেই ভুলই করেছেন এথিকস কমিটির সভাপতি বিনোদ কুমার সোনকার। এর কঠিন মূল্য চোকাতে হবে তাঁকে’ – ফোনের ওপারে এই ভাষাতেই গর্জে উঠলেন বিহারের বাঁকা নির্বাচনী কেন্দ্রের জেডিইউ’র বাহুবলী সাংসদ গিরিধারী যাদব।
বিহার রাজ্য বিধানসভার চারবারের বিধায়ক, তিনবারের লোকসভা সাংসদ, নীতিশ কুমারের ঘনিষ্ঠজন গিরিধারী যাদব, স্বয়ং লোকসভা এথিকস কমিটির ১৫ জন সদস্যের অন্যতম। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র’র বিরুদ্ধে আনা ‘টাকা নিয়ে প্রশ্ন’ মামলার তদন্তে এদিন তিনিও হাজির ছিলেন এথিকস কমিটির বৈঠকে। মহুয়া মৈত্রকে যখন একের পর এক আপত্তিকর প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন কমিটি চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার সোনকার, উঠে দাঁড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি; পরে কমিটি থেকে ওয়াক আউটও করেন। এদিন একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিনোদ সোনকার নিতান্তই পুতুল। তাঁর কোনো ক্ষমতাই নেই। বিজেপির শীর্ষ মহল তাঁকে যে প্রশ্ন করতে বলেছে, তিনি তা-ই করেছেন। কিন্তু এতটা নীচে নামবেন সেটা ভাবিনি।’
গিরিধারী জানাচ্ছেন, ‘উনি (সোনকার) তো সাক্ষীদের নামই ঠিক করে উচ্চারণ করতে পারেন না। জয় অনন্ত দেহাদ্রিকে ‘দেশাই’ ‘দেশাই’ বলে গেলেন সারাক্ষণ। তাঁর দলের লোকেরাই সংশোধন করিয়ে দিয়েছেন বহুবার।’ যাদব বলেন, ‘উনি (সোনকার) যে সব প্রশ্ন করেছেন, তা শুনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন খোদ সুনীতা দুগগল, অপরাজিতা ষড়ঙ্গীর মতো বিজেপির মহিলা সাংসদরাও। তাঁরা মাথা নীচু করে বসেছিলেন। এখানে তো মনে হচ্ছিল দ্রোপদীর বস্ত্রহরণ হচ্ছিল। অত্যন্ত লজ্জার এই ঘটনা।’ গিরিধারী জানাচ্ছেন, ‘সাংসদ পদ থাকুক না থাকুক, এই অপমানের বদলা নেবই। বিজেপির মহিলা সাংসদরাও আমার বোনের মতো। মহুয়াজিও তাই। এটা সকলের অপমান। সোনকারের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা।’
জেডিইউ’র নেতা জানাচ্ছেন, ‘আমি বিহারের অনুন্নত প্রদেশের প্রতিনিধি, কিন্তু বিজেপির মত এতটা কট্টর রক্ষণশীল নই। আমারও বোন আছে, একাধিক বোন আছে। আমার বোন কবে কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করল, সম্পর্কে এল সেটা তার বিষয়, আমি সেখানে প্রশ্ন করতে পারি না। অন্য কেউ তার চরিত্রহনন করতে চাইলে তাকেও ছেড়ে দেব না।’ ভবিষ্যতে এই নিয়ে লোকদভার স্পিকার এমনকি রাষ্ট্রপতির কাছেও যাওয়ার কথা ভাবছেন বিরোধীরা, জানিয়েছেন গিরিধারী যাদব। এদিন জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ বিজেপির সাংসদ বিষ্ণুদত্ত শর্মাও মহুয়াকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন না করে তদন্তনির্ভর প্রশ্ন করার জন্য বলেন। এই বিষয়ে বিষ্ণুদত্ত শর্মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘যা বলার কমিটিতে বলেছি। বাইরে এ নিয়ে কিছু বলব না।’ কমিটি সদস্য বিজেপির মহিলা সাংসদরাও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
রায়গঞ্জ: অবশেষে ধরা পড়ল ত্রিপুরার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী দুর্গাপ্রসন্ন দেব খুনের মূল পাণ্ডা রাকেশ বর্মন (৩৩)।…
রায়গঞ্জঃ এক তরুণীকে অপহরণ করে অন্যত্র লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মূল অভিযুক্তের কাকাকে গ্রেপ্তার করল রায়গঞ্জ…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন স্বামী। সেই মেসেজ খুলতেই স্ত্রী শুনতে পেলেন…
মানিকচকঃ একেই কি বলে প্রেমের ফাঁদ? তিন বছরের প্রেম। বছরখানেক আগে বাড়ির মতে অন্যত্র বিয়ে…
রায়গঞ্জ: বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতির এক খোঁচায় সরকারি প্যানেল বাতিল…
প্রণব সূত্রধর, আলিপুরদুয়ার: নাগাল্যান্ড থেকে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন (New Alipurduar Station) পর্যন্ত ওই ইয়াবা ট্যাবলেট…
This website uses cookies.