শিলিগুড়ি: কলকাতা (Kolkata) পাচারের ছক! বিপুল পরিমাণ বিদেশি সোনার বিস্কুট (Gold biscuit) সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার (Arrest) করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের শিলিগুড়ি জোনাল ইউনিটের আধিকারিকরা। ধৃতদের কাছ থেকে ৮ কেজি ৪৬৫ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ৩২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৫০ টাকা। ধৃতরা হল, দিনহাটার (Dinhata) দিঘলটারি গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর প্রামাণিক এবং সাজু প্রামাণিক, দিনহাটার পঞ্চধ্বজি গ্রামের রফিকুল ইসলাম, দিনহাটার দারিবাসের মতিউর রহমান ও দিনহাটার কোওরাইয়ের ইসমাইল হক। তাদের কাছ থেকে মোট ৭২টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গোয়েন্দারা জানান, সিন্ডিকেট করে ওই সোনা কোচবিহার থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে সীমান্ত পেরেয়ি সোনার বিস্কুটগুলি এদেশ নিয়ে আসা হয়। এরপর সেগুলি কলকাতা পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল ওই পাঁচজন। তবে কোচবিহার থেকে সোনার বিস্কুটগুলি যে বিভিন্ন পথে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছে, সেবিষয়ে গোয়েন্দাদের আগাম খবর ছিল। সেইমতো বুধবার দুপুর থেকে কোচবিহার (Cooch behar) ও আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়েন। ওইদিন বিকালে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি এলাকায় একটি বেসরকারি বাস থেকে সাজু প্রামাণিক, মিজানুর প্রামাণিক ও রফিকুল ইসমালকে আটক করা হয়। ফালাকাটা থেকে ইসমাইল হককে আটক করা হয়। অন্যদিকে, হাসিমারার দলগাঁও রেলস্টেশনে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস থেকে আটক হয় মতিউর রহমান। আটক প্রত্যেককে এরপর শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের অফিস নিয়ে আসা হয়। সেখানে তল্লাশি করতেই অভিযুক্তদের পোশাকে গোপন চেম্বার করে লুকিয়ে রাখা সোনার বিস্কুটগুলি উদ্ধার হয়। সাজু, রফিকুল ও মতিউরের কাছ থেকে ১৫টি করে এবং ইসমাইল ও মিজানুরের কাছ থেকে ১৪টি করে সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করে হয়। ধৃতদের বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আইনজীবী ত্রিদীপ সাহা বলেন, ‘চোরা পথে সোনা আসায় এদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় অনেক জায়গাতে কাটাতারের বেড়া নেই। সেই কারণে চোরা কারবার হচ্ছে। সিন্ডিকেট করে চলছে ‘স্মাগলিং’।’ যদিও অভিযুক্তদের আইনজীবী অখিল বিশ্বাসের কথায়, ‘সোনাগুলি বিদেশের হলে তাতে ‘ফরেন মার্কিং’ থাকত। কিন্তু সেই মার্কিং একটিতেও নেই।’