রাহুল মজুমদার, বাগডোগরা: কোথাও নালায় গজিয়েছে আগাছা। কোথাও আবার প্লাস্টিক এবং আবর্জনায় বন্ধ হয়েছে নালার মুখ। একাধিক এলাকায় বেহাল রাস্তাঘাটও। এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে একের পর এক খাটাল। পরিষ্কারের বালাই নেই, স্থানীয়রা নিজেদের গাঁটের কড়ি খরচ করে নালা পরিষ্কার করেন। বাগডোগরার গোঁসাইপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও কর্মীকে এলাকায় দেখা যায় না। আসেন না জনপ্রতিনিধিরাও। যদিও গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রীতা সিংহ এলাকাবাসীর এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁর সাফাই, ‘আমরা তো কাজ করছি। জায়গায় জায়গায় নালা পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে। তবে পকেট রুট হলে আমাদের জানাতে হবে।’
বাস্তব অবশ্য অন্য কথা বলছে। এলাকার পকেট রুট তো বটেই, প্রধান প্রধান রাস্তাগুলিতেও সঠিকভাবে যে নালা পরিষ্কার করা হয় না, সেটা সেখানে গেলেই দেখা যাবে। ফলে পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ এলাকাবাসীরাই।
গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোঁসাইপুর, চড়ক মাঠ সংলগ্ন এলাকা, আনন্দনগর মেইন রোড সহ একাধিক এলাকায় একই অবস্থা। মশার উৎপাতে ঘরের মধ্যে বসে থাকাটাই দায়ের। গোঁসাইপুর জিএসএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঠিক পাশের রাস্তাটির অবস্থা বেহাল। পিচের চাদর উঠে গিয়েছে। স্কুলের পাশের নালায় জমে থাকা জলে মশার লার্ভা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাক্তন সেনাকর্মী নৃপেন্দ্রনাথ সরকারের বক্তব্য, ‘এলাকার নালাগুলো তো আমরা পাড়ার কয়েকজন মিলে টাকা তুলে পরিষ্কার করাই। পঞ্চায়েত থেকে বছরে এক থেকে দু’বার করা হয়। ওটাতে কি আর কাজ হয়?’
সেখান থেকে এগিয়ে চড়ক মাঠের দিকে গেলে দেখা যাবে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ। কঙ্কালসার রাস্তায় পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। ভাঙাচোরা ওই রাস্তা দিয়েই বাচ্চারা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যায়। আনন্দনগর মেইন রোড এলাকার রাস্তা যেমন খারাপ, তেমনই নালার অবস্থাও বেহাল। নিকাশির জলের ওপর জমে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। এলাকাবাসী শিবনাথ রায় বলেন, ‘খুব মশার অত্যাচার। নালা থেকে পচা গন্ধ বের হয়। ঠিকমতো পরিষ্কার হলে তো এসব সমস্যা হত না। অন্তত গত ছয় মাসের মধ্যে এলাকায় মশার তেল স্প্রে করতে দেখেছি বলে তো মনে পড়ছে না।’