নাগরাকাটা: পাহাড়ে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্টকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha) সুপ্রিমো বিমল গুরুং। যদিও ডুয়ার্সে তাঁর অনুগামীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রচারে নামা তো দূরের কথা, মোর্চা নেতারা রীতিমতো বাড়িতে বসে রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপির কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এমনকি বিমল গুরুংয়ের কাছ থেকেও কোনও বার্তা আসেনি। মোর্চার ডুয়ার্সের নেতা ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক শিবু সুনুয়ার বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে কী করব, বুঝে উঠতে পারছি না। তাই সকলে নীরব রয়েছি। গোর্খাদের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান কিংবা ১১টি জনগোষ্ঠীকে তপশিলি উপজাতির স্বীকৃতি নিয়ে বিজেপির মুখে কোনও শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না।’
মোর্চার ডুয়ার্সের নেতারা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি নির্বাচনকে ঘিরে জয়গাঁয় তাঁদের একটি সভা হয়। সেখানেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকার বিমল অনুগামীরা এখন মোর্চার স্থানীয় নেতাদের ফোন করছেন। জানতে চাইছেন ভোটে তাঁদের অবস্থান কী হবে সে ব্যাপারে নির্দেশ দিতে। যদিও শীর্ষ নেতারা এখনও তাঁদের কিছু বলছেন না।’
রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে, পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের প্রভাব অনেকটাই কমে গেলেও ডুয়ার্সে কিন্তু তাঁর ভালো সংখ্যক অনুগামী রয়েছে। আগের মতো না হলেও এখনও মোর্চার নীরব প্রভাব রয়েছে কুমারগ্রাম থেকে শুরু করে এলেনবাড়ি পর্যন্ত। পশ্চিম, মধ্য ও পূর্ব ডুয়ার্সে তাঁদের শাখা সংগঠনও রয়েছে। পাহাড়ের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি এই দুই লোকসভা আসনে বিমল অনুগামীদের ভোটে নজর রয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই।
আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘গোর্খা সম্প্রদায় বরাবরের মতো এই ভোটেও তাঁদের সঙ্গেই রয়েছে। মোর্চার নেতাদের সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে দ্রুত যোগাযোগ করা হবে।’ এই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিকবড়াইক বলেন, ‘গোর্খাদের পাশে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের প্রতি যে কতটা আন্তরিক, তা তাঁর নানা কাজে বারবার পরিষ্কার হয়েছে। সে কারণে গোর্খা ভোট তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে।’