কলকাতা: একদফায় পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন চেয়েছিল ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু একসঙ্গে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী না পেলে একদফায় ভোট কীভাবে সম্ভব? রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার কাছে তা জানতে চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রবিবার রাজভবনে রাজ্যপাল ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ২০১৩-এর পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় বেশি বাহিনী এবার ব্যবহার করতে হবে। ওই বছর পাঁচ দফার ভোটে নামানো হয়েছিল ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার ভোট হবে এক দফায়। কমিশনার রাজ্যপালকে জানান, আদালতের নির্দেশে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পঞ্চায়েত ভোটের জন্য চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ২২ কোম্পানি এবং পরবর্তী দফায় আরও ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো নিয়ে তারা এখনও কিছু জানায়নি। একলপ্তে বাহিনী না পেলে একদফায় ভোট করানো নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজনীয় বাহিনী আনতে কেন্দ্রের সঙ্গে তদ্বির করার জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন।
পাশাপাশি গতকালের বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে ভাঙড় সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি হয়েছে। কমিশন ‘নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না’-এই অভিযোগে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সূত্রের খবর, আনন্দ বোস রাজীবকে পরামর্শ দিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে পদক্ষেপ করতে হবে কমিশনকে। পালন করতে হবে নিরপেক্ষ ভূমিকা। রাজভবন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। ভোটের জন্য কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, রাজ্যপালকে তা জানান রাজীব। বৈঠকে রাজ্যপাল পরামর্শ দেন, ‘আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করুন। ভোটে অশান্তি কোনওভাবেই যেন বরদাস্ত না করা হয়। শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে সমস্ত পদক্ষেপ করতে হবে। কমিশনের যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকে।’