উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে কাঠগড়ায় তুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। “যাদবপুরের ঘটনার জন্য রাজ্যপাল ১০০% দায়ী’, ঠিক এভাবেই রাজ্যপালের দিকে অভিযোগের আঙুল শিক্ষামন্ত্রীর। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘রাজ্য সরকারের আদেশ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের। রাজ্যের নিযুক্ত উপাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই মৃত্যুর জন্য রাজ্যপাল ১০০% দায়ী। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভাবে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। আমরা পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি। ছেলেটাকে ফেরাতে পারেনি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উনি উল্লেখ করেছেন। আমাদের রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে উপাচার্য নিয়োগ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষা দপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে এই ঘটনায়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট দিয়েছে। নতুন উপাচার্য যে রিপোর্ট ইউজিসিকে দিয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট নয়। একটা দু:খজনক ঘটনা। এর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় দখল হলে মুশকিল। স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতার ফারাক আছে সূক্ষ্ম।’ শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের অবাধ বিচরণ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সি ভি আনন্দ বোসের এক্তিয়ার বহির্ভূত কার্যকলাপকে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব বলে মন্তব্য করেছিলেন মন্ত্রী। এমনকি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। তবে যাদবপুরকান্ডের পর রাজ্য এবং রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব যেন ছাপিয়ে গেছে অতীতের সব বিবাদকে। শুধু যে শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালকে নিয়ে কথা বলেছেন এমন নয়। গতকাল রাজ্যপালের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও।