উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শাসকদল সিপিএমের সঙ্গে সংঘাত নতুন নয় কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের। এবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে হেনস্থার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল আরিফ খান। এরপরই তিনি কেরলের সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন। যদিও রাজ্যপালের এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
গত দু’বছর ধরে সংঘাতে লিপ্ত রাজ্য ও রাজভবন। পশ্চিমবঙ্গের মতো কেরলেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধে। কেরলের সিপিএম সরকারও এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এই ব্যাপারে রাজ্যপালের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে শীর্ষ আদালত।এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে সিপিএমের ছাত্র যুব সংগঠন এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে রাজ্যপাল আরিফ খান যাচ্ছিলেন একটি বনিক সভার অনুষ্ঠানে। সেখানে যাওয়ার পথে রাজ্যপালের কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে সিপিএমের ছাত্র-যুবরা। রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এদিনই সন্ধ্যায় রাজ্যপাল দিল্লির উদ্দেশ্যে রাজভবন থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় ফের রাজ্যপালের কনভয় আটকায় সিপিএমের ছাত্র যুবরা। সেই সময় কনভয় দাঁড়িয়ে যায়। রাজ্যপাল গাড়ি থেকে নেমে আসেন। ওই সময় বিক্ষোবকারীদের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তি হয়। রাজ্যপাল খান রাস্তায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। রাজ্যপালের অভিযোগ, এর আগেও বহুবার তাঁকে হেনস্তা করেছে শাসকদলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছিল, তাঁদের নিমেষে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী। রাজ্যপালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী এইসব ঘটনা জানতেন। আমার উপর শারীরিক নির্যাতনের দুটি ঘটনাই মুখ্যমন্ত্রীর ষড়যন্ত্র।
এর আগে রাজ্যপাল হাজারো অভিযোগ করলেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শারীরিক নিপীড়নের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ শোনা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই এবং সিপিএম সরকার এখনও আরিফ মহম্মদ খানের অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেনি।