বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স (Govt Ambulance) সংখ্যায় অনেক কম। গোদের ওপর বিষফোঁড়া জটিল পরিষেবা পদ্ধতি। অনেকেরই সেই পদ্ধতি জানে না। ফলে প্রয়োজন পড়লে মেলে না অ্যাম্বুল্যান্স।
’১১-এর জনগণনা অনুযায়ী জেলার জনসংখ্যা ৩০ লক্ষের বেশি। ন’টি ব্লক এবং চারটি পুরসভা নিয়ে গঠিত এই জেলার জনসংখ্যার নিরিখে অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা খুবই নগণ্য বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। প্রশাসন সূত্রে খবর, রায়গঞ্জ মেডিকেল, স্বাস্থ্য দপ্তর ও রায়গঞ্জ পুরসভার অধীনে মোট ন’টি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাওয়ার পদ্ধতিতেও অনেক জটিলতা রয়েছে বলে অভিযোগ। অনেকেরই সেই পদ্ধতি জানা নেই।
রায়গঞ্জে মেডিকেল কলেজ (Raiganj Medical College) স্থাপিত হয়েছে ২০১৮ সালে। এক সময় জেলায় ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স’ (এইমস) তৈরির জোরালো দাবি উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এবং পরবর্তীতে সাংসদ দীপা দাশমুন্সিও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই এইমস রায়গঞ্জ থেকে অন্যত্র চলে যায়। পরবর্তীতে এখানে মেডিকেল কলেজ তৈরি হয়। রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে উন্নীত হলেও এখানকার অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত।
স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘বিষয়টি নজরে এসেছে। অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাওয়ার বিষয়টি কীভাবে আরও সরলীকরণ করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।’ মেডিকেল কলেজের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, ‘মা এবং নির্দিষ্ট বয়সের (সরকারি নিয়ম অনুসারে) শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুল্যান্স আছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার জন্য পৃথক নির্দেশ দেওয়া হয়।’
