নয়াদিল্লি: গ্রাহকের অজান্তে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হচ্ছে টাকা! আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য (মূলত আঙুলের ছাপ) দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ বাড়ছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, মোবাইলে এসএমএস পেয়ে চুরির কথা জানতে পারছেন তাঁরা। এরপর ব্যাংকে খোঁজ করলে জানতে পারছেন, বায়োমেট্রিক তথ্যের ভিত্তিতেই লেনদেন হয়েছে। কিন্তু কিভাবে কারও অজান্তে আধারের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে এই প্রতারণা চলছে, তা এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। এনিয়ে আধার কর্তৃপক্ষ (ইউআইডিএআই) এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন (এনপিসিআই)-এর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের পরামর্শ, আধার গ্রাহকদের তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য আপাতত ‘লক’ করে রাখতে।
লক করা যাবে কীভাবে?। এক্ষেত্রে আধারের ওয়েবসাইট বা এমআধার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। ওটিপি’র মাধ্যমে পরিষেবা মিলবে। তাই দু’ক্ষেত্রেই আধারের সঙ্গে ফোন নম্বর যুক্ত থাকতে হবে। www.uidai.gov.in সাইটে গিয়ে ‘মাই আধার’ বিভাগে ‘আধার সার্ভিস’-এ ক্লিক করতে হবে। সেখানে লক/আনলক বায়োমেট্রিক্স-এ ক্লিক করলে লগ-ইন করার জন্য একটি নতুন পাতা খুলবে। আধার নম্বর এবং আধারের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল ফোনে আসা ওটিপি দিয়ে পরপর নির্দেশ মতো এগোলে বায়োমেট্রিক তথ্য লক হয়ে যাবে। এমআধার থেকে লক করতে চাইলে, অ্যাপ খোলার পরে উপরের মেনু থেকে বায়োমেট্রিক সেটিং-এ গিয়ে ‘এনেবল বায়োমেট্রিক লক’-এ টিক মারলে ফোনে ওটিপি আসবে। তা দিলে তথ্য লক করার জন্য সম্মতি চাওয়া হবে। সম্মতি দিলে তথ্য বন্ধ থাকবে যতক্ষণ না ফের তা আনলক হয়।
ঠিক কোথা থেকে কীভাবে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। সকলের কাছে সহজে আর্থিক পরিষেবা পৌঁছে দিতেই আধার ভিত্তিক টাকা মেটানোর পরিষেবা চালু করেছিল কেন্দ্র। তবে যেভাবে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে প্রতারণার জাল ছড়াচ্ছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের আর্থিক পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।