উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সৌদি আরবে হজ যাত্রায় গিয়ে মৃত্যু হল শয়ে শয়ে পুণ্যার্থীর। হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। সৌদির বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ৯৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও খবর। অত্যাধিক গরমের কারণেই এই মৃত্যুর ঘটনা বলে মনে করছে সৌদি সরকার। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৬৬০ জন মিশরের বাসিন্দা।
এক বিবৃতি দিয়ে সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহদ বিন আব্দুররহমান আল-জালাজেল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত হজযাত্রায় মৃত্যু হয়েছে ১৩০১ জন বিদেশির। মৃতদের মধ্যে ৮৩ শতাংশ পুণ্যার্থীই অনুমোদন ছাড়াই হজযাত্রায় এসেছেন। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দীর্ঘ পথ হেঁটে তাঁরা মক্কায় পৌঁছেছেন। হজ যাত্রার পর তাঁদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। মক্কার হাসপাতালগুলিতে এখনও কিছু মানুষ চিকিৎসাধীন। অনেককেই আবার আকাশপথে জরুরি ভিত্তিতে রাজধানী শহর রিয়াধেও পাঠানো হয়েছে, জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, ১৩০১ জনের মধ্যে ৬৬০ জন শুধু মিশর থেকেই হজে গিয়েছিলেন। ইন্দোনেশিয়ার রয়েছেন ১৬৫ জন, ভারতের ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে হজে গিয়ে। এ ছাড়া জর্ডন, তিউনিশিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া, মালয়েশিয়ার মানুষও এই তালিকায় রয়েছে। আমেরিকার দু’জন নাগরিক হজযাত্রায় মারা গিয়েছেন। সৌদি সরকারের বক্তব্য, ৮৩ জন পুণ্যার্থী অনুমোদন ছাড়াই হজে এসেছেন। এদের মধ্যে ৩১ জন রয়েছেন মিশরের নাগরিক। এই সমস্ত পুণ্যার্থীর হজযাত্রার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার অভিযোগে দেশের ১৬টি ভ্রমণ সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করেছে মিশর সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, অনুমোদন ছাড়া কী ভাবে এত মানুষ সৌদি গেলেন?
হজযাত্রা শুরুর আগে থেকেই অননুমোদিত পুণ্যার্থীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছিল সৌদি সরকারও। অনুমোদন না থাকায় বহু মানুষকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পায়ে হেঁটে কোনও রকমে মক্কায় পৌঁছতে হয়েছে। তাঁদের থাকার জন্য কোনও হোটেল না থাকায় রাস্তাতেই সময় কাটাতে হয়েছে। তীব্র গরম সহ্য করতে না পারার কারণেই এত মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে।