হরিশ্চন্দ্রপুর: রাজ্যজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর দৈনিক বাজারে দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে গিয়েছে। ড্রেনের নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত পচা জল যা উপছে বাইরে চলে এসেছে। তার মধ্যে দাঁড়িয়ে নিত্যদিনের কেনাবেচা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ। সেদিকে নজর নেই প্রশাসনের। হরিশ্চন্দ্রপুরের এই দৈনিক বাজার স্থানীয় পঞ্চায়েত নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু বর্ষা আসলেই এর জরাজীর্ণ নিকাশি ব্যবস্থার নগ্নরূপ বেরিয়ে পড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টিতে এই বাজারের ভেতরে থাকা ড্রেনের জল বাইরে বেরোতে শুরু করেছে। ড্রেনের জলে থাকা পোকা মাকড় মশার লার্ভা সেগুলিও কিলবিল করছে চারিদিকে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাজারের কোনায় কোনায়। আর এরমধ্যেই পেটের দায়ে মাটিতে বসে ব্যবসা করছেন এলাকার সবজি থেকে মাছ বিক্রেতারা। আর এই নোংরা জলের মধ্যেই পা ডুবিয়ে বাজার করছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের সাধারণ মানুষ। নজর নেই প্রশাসনের।
এলাকার বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে বারবার পঞ্চায়েত ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। প্রতিবার বর্ষা আসলে একই চিত্র দেখেন স্থানীয় লোকজন। অবিলম্বে এই দৈনিক বাজারের নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন দৈনিক বাজারের ব্যবসায়ী এবং সাধারণ বাসিন্দারা।
এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক চন্দ্রশেখর দাস জানান, দৈনিক বাজারে নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা। ড্রেনের জমা থাকা নোংরা পচা জল উপছে বাইরে চলে আসছে। গন্ধে আশেপাশের বাড়ির লোকরা বাড়ির মধ্যেও টিকতে পারছেন না। নির্বিকার প্রশাসন। আজ পর্যন্ত এর কোন প্রতিকার হল না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজেন মহলদার বলেন, ‘আমরা নিত্যদিন এই পচা জলের উপর বসেই বাজারে ব্যবসা করি। স্থানীয় প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। ড্রেনের দুর্গন্ধে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। কিন্তু কি করবো পেটের দায় কিছু করার নেই। এর মধ্যেই ব্যবসা করতে হচ্ছে।‘ যদিও এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর বিডিও অনির্বাণ বসু জানিয়েছেন, অবিলম্বে ওই এলাকা নিকাশি ব্যবস্থা যাতে সংস্কার করা হয় সে ব্যাপারে নজর দেওয়া হবে।