হরিশ্চন্দ্রপুর: বিগত দুইদিন ধরে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের বিভিন্ন এলাকা প্রায় জলবন্দি। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার থানাপাড়া, শিবমন্দির পাড়া, তেতুলবাড়ি ব্লক পাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির জল জমেছে। ডুবে গিয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। ফলে কার্যত জলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। বৃষ্টির মরসুমে দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। লাগাতার বৃষ্টিতে ওইসব এলাকার অনেকের বাড়িতেই বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। প্রতিবছর বর্ষাকালে এলাকায় কোনও নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তাঘাটে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির জল জমে থাকে। এই জলের মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করতে হয় এলাকার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাদের। এই জমা জল থেকেই বাড়ছে অসুখ-বিসুখ। কিন্তু প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধি কারোরই কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।
তাঁদের আরও অভিযোগ, সদ্য নির্মিত নিকাশি ব্যবস্থাটিও অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। অন্যান্য নিকাশি ব্যবস্থাগুলিও ঠিকমতো কাজ করে না। লাগাতার বৃষ্টিতে নিকাশি নালা জলে পরিপূর্ণ হয়ে রাস্তার সঙ্গে মিশে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রেও নজর দেয়নি প্রশাসন। যদিও জল জমা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কর্তারা সরাসরি এলাকার বাসিন্দাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, সুনির্দিষ্ট প্ল্যান ছাড়াই এলাকায় বাড়িগুলি তৈরি হচ্ছে। ফলে সাধারণ নালাগুলো বুঝে ফেলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এক ব্লক আধিকারিক জানান, এলাকায় প্রাকৃতিক জল ধরে রাখার পুকুরগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। এতে সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা যাচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে।
যদিও এ প্রসঙ্গে হরিশচন্দ্র পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান রিসবা খাতুন জানান, এলাকার বাসিন্দারা ওনাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত ওই এলাকাগুলি থেকে বৃষ্টির জল বের করে দেওয়ার। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বরের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, জল বের করার জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।