উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ভোটে শাসকদল আওয়ামি লিগের প্রার্থী নির্বাচনে গুজরাটে ‘মোদি নীতি’র প্রতিফলন দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল এ বার তাদের ৭৭ জন সাংসদকে টিকিট দেয়নি। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, টানা প্রায় দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, রাজনৈতিক হিংসা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে। তা সামাল দিতেই এই কৌশল। ভোটের ময়দানে বিদায়ী বিধায়কের টিকিট ছাঁটাইয়ের কৌশলে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সফল হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ভোটে তারই ছায়া দেখছেন অনেকে। বাদ পড়া বিদায়ী সাংসদদের মধ্যে ১৭ জন নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়ছেন। বাকি ৬০ জন ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তা ছাড়া, খুব বেশি আসনে বাদ পড়া সাংসদেরা অন্য দলে গিয়ে আওয়ামি প্রার্থীদের জেতার সম্ভাবনা নষ্ট করবেন, এমন সম্ভাবনা নেই।
প্রসঙ্গত, অন্য বারের মতো সিলেটে জনসভা করে বুধবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচার শুরু করেন দলনেত্রী শেখ হাসিনা। সিলেট আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে এই জনসভা ডাকা হলেও গোটা শহর এ দিন অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল আওয়ামী কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে। সেখানেই হাসিনা বলেন, “আমরা যেমন উন্নয়নের কাজ করেছি, ওদের কাজ হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো। আজকে সমস্ত জায়গায় বোমাবাজি, খুন আর অগ্নিসন্ত্রাস। এর বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”