উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট (Hathras Stampede) হয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। শুক্রবার সকালে তিনি আলিগড়ের (Aligarh) নবীপুর খুরদ এবং পিলখানা গ্রামে পৌঁছোন তিনি। সেখানে শোকাহত বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। মৃতদের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। এছাড়াও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়েও জানার চেষ্টা করেন রাহুল।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল জানান, দলের মাধ্যমে কী কী ভাবে তাঁদের সাহায্য করা যায়, সেই সব দিকে তিনি নজর দেবেন। তাঁর কথায়, মৃতদের পরিবার তাঁর কাছে অভিযোগ জানায় যে, ঘটনার সময় সেখানে প্রশাসনের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও নাকি সেখানে চূড়ান্ত অব্যবস্থা ছিল। রাহুল বলেন, ‘বিষয়টি আমি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই না। তবে প্রশাসনের তরফে ঘাটতি রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। ওই দরিদ্র পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’
হাথরসে স্বঘোষিত ধর্মগুরু (Self Styled Godman) ভোলেবাবার (Hathras Bhole Baba) সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১২১ জনের। মৃতদের বেশিরভাগই শিশু এবং মহিলা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, স্বঘোষিত ধর্মগুরুর চরণধুলি স্পর্শ করতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটেছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই ভোলেবাবার। এই ঘটনায় এখনও ওই ধর্মসভার আয়োজকদের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে প্রধান অভিযুক্ত দেবপ্রকাশ মধুকর এখনও পলাতক। দেবপ্রকাশ মধুকর ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের এফআইআরে নাম নেই সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলেবাবার। ভোলেবাবার আইনজীবী জানিয়েছেন, বাবাজি কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবেন। তাঁর দাবি, কিছু সমাজবিরোধীর ষড়যন্ত্রে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি চরণধুলি স্পর্শের বিষয়টিকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।