কোচবিহার: বাইরে তুমুল বৃষ্টি। এদিকে হাসপাতালের একটি প্রবেশপথ বন্ধ। তাই সেই প্রবেশপথ পেরিয়ে বারান্দা দিয়ে রোগীকে এক্স-রে করাতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে রোগীদের স্ট্রেচারে শুইয়ে বৃষ্টির মধ্যে এক্স-রে করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরকমই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। কর্তব্যরত আধিকারিকদের বারবার প্রবেশপথ খুলে দেওয়ার আবেদন জানালেও তাতে কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন খোদ তৃণমূলের বিদায়ি প্রধান শংকর দেবনাথ। শনিবার গভীর রাতে হাসপাতালে তিনিই এই ঘটনার শিকার হন।
এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মূল ভবনে বেশ কয়েকটি প্রবেশপথ রয়েছে। জরুরি বিভাগের সামনের পথটি সবসময় খোলা থাকলেও বাকি প্রবেশপথগুলি ভিজিটিং আওয়ারের বাইরে বন্ধই থাকে। হাসপাতালের পূর্ব দিকে অর্থাৎ ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের উলটো পাশে একটি প্রবেশপথ রয়েছে। সেই পথের পাশেই হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগ। জরুরি বিভাগ দিয়ে প্রবেশ করে সেখানকার বারান্দা দিয়ে পূর্ব দিকের প্রবেশপথ হয়ে সহজেই এক্স-রে বিভাগে যাওয়া যায়। কিন্তু সেই প্রবেশপথ ভিজিটিং আওয়ারের বাইরে খোলা না থাকায় রোগীদের হাসপাতাল ভবনের বাইরে দিয়ে এক্স-রে বিভাগে যেতে হয়। অন্য সময় তাতে সমস্যা না হলেও বৃষ্টি হলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় সকলকে। বৃষ্টিতে ভিজেই রোগীদের এক্স-রে করাতে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
শনিবার রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ হাড়িভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ি প্রধান শংকর দেবনাথ পথ দুর্ঘটনায় আহত দুই মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। তাঁর দাবি, জরুরি বিভাগে দেখানোর পরই কর্তব্যরত চিকিৎসক এক্স-রে করতে বলেন। শংকরবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। পূর্ব দিকের গেটটি বন্ধ থাকায় কর্তব্যরত আধিকারিকদের বারবার অনুরোধ করে বলেছিলাম সেটি খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা বলেছেন যে এমএসভিপি-র অর্ডার রয়েছে সেই গেট নাকি খোলা যাবে না। এদিকে রোগীর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজেই স্ট্রেচারে করে এক্স-রে করাতে নিয়ে যাই। রোগী তখন বৃষ্টিতে ভিজে কাঁপছিল।’
এবিষয়ে এমএসভিপি ডাঃ রাজীব প্রসাদ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের কর্মীরাই রোগীকে এক্স-রে করাতে নিয়ে যান। তার জন্য নির্দিষ্ট পথ রয়েছে। এই ঘটনায় হয়তো রোগীর পরিজনরা নিজেরাই হস্তক্ষেপ করে কিছু করেছেন। তবে বিষয়টি কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।‘