হেমতাবাদ: ঘন কুয়াশার জেরে সঠিক সময়ে পৌঁছোতে পারেনি অ্যাম্বুল্যান্স। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে টোটোর মধ্যেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন এক মহিলা। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ডেহুচি এলাকার। পরে মা ও সদ্যোজাতকে হেমতাবাদ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
প্রসূতির নাম কলাবতী নাগবংশী কোরা। সোমবার ভোরে তাঁর প্রসব যন্ত্রণা উঠলে হেমতাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সে ফোন করা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স না থাকার পাশাপাশি কুয়াশার কারণে আসতে দেরি হবে বলেও জানানো হয়। এরপরই দিশা না পেয়ে টোটো করেই অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দিকে রওনা হন পরিবারের লোকজন। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছোনোর আগেই টোটোর মধ্যেই সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা।
এদিকে, সঠিক সময় অ্যাম্বুল্যান্স না পৌঁছোনোয় ক্ষোভ ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। এ নিয়ে স্থানীয় বিজেপির তরফেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্রসূতির স্বামী প্রশান্ত কোরার অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা উঠলে আশাকর্মীকে ফোন করেন। তবে আশাকর্মী অ্যাম্বুল্যান্সকে ফোন করলে চালক টালবাহানা করেন। এমনকি, কুয়াশার কারণে অ্যাম্বুল্যান্সের যেতে দেরি হবে বলেও জানানো হয়। এরপরই তাঁর স্ত্রীকে টোটোতে চাপিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
এ নিয়ে বিজেপির অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের তরফে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বরাবরই অনুন্নত। এমনকি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আধিকারিক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বন্ধ করে রেখেছেন।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ হেমতাবাদের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আনসারুল হক। তিনি বলেন, ‘মাতৃযান ও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে যদি এই ঘটনায় কারও গাফিলতি থেকে থাকে, তবে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’