কলকাতা: ভাঙড়ে আইএসএফের যে ৮২ জন প্রার্থীর নাম ওয়েবসাইট থেকে মুছে গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের অভিযোগ আলাদা করে খতিয়ে দেখতে হবে। একইসঙ্গে তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। সোমবার আইএসএফের মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৮ জুনের মধ্যে এই পদক্ষেপ করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনও আসনে নির্বাচন হতে পারে না বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি।
ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তারা সব আসনে মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি। আইএসএফ প্রার্থীদের দাবি, অশান্তির পরেও কিছু আসনে মনোনয়নপত্র জমা করতে পেরেছিলেন তাঁরা। স্ক্রুটিনির পরেও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম ছিল। এমনকি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন সকালেও কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম ছিল বলে দাবি আইএসএফের। কিন্তু সেই রাত থেকে ওয়েবসাইটে তাঁরা আর নাম দেখতে পাননি বলে অভিযোগ। এর ফলে ওই সব আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থী।
এই মামলাতেই সোমবার বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, ৮২ জন আইএসএফ প্রার্থীর প্রত্যেকের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। খতিয়ে দেখতে হবে, ওয়েবসাইট থেকে তাঁদের নাম বাদ গেল কীভাবে। কারও অভিযোগ সত্য হলে, তাঁকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে হবে কমিশনকে।