উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ককামদুনি ধর্ষণ কাণ্ডে ব্যতিক্রমী রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের রায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত এক জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও দুই ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তের সাজার পরিমাণ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। এই রায় ঘোষণার পর হতাশায় ভেঙে পড়েছে কামদুনির প্রতিবাদীরা।
২০১৩ সালের ৭ জুন কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংশ ভাবে খুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলা। প্রতিবাদে ফেটে পড়েন কামদুনি সহ সারা রাজ্যের মানুষ। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের মতো তার ঢেউ পৌঁছয় দেশের অন্যান্য প্রান্তেও। দোষীদের চরম সাজার দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি কলকাতার নগর দায়রা আদালতের (ব্যাঙ্কশাল কোর্ট) বিচারক সঞ্চিতা সরকার সইফুল আলি, আনসার আলি, ও আমিন আলিকে ফাঁসির সাজা দেন। তাদের মধ্যে সইফুল আলি ও আনসার আলিকে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। বাকি ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্কর যাদের যাবজ্জীবনের সাজা দেয় নিম্ন আদালত তাঁদের ১০ বছর জেল খাটার কারণে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন গোপাল নস্কর নামে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয় অন্য দুই অভিযুক্ত রফিক গাজি এবং নুর আলিকে।এদিন রায় ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ টুম্পা কয়াল ও মৌসুমি কয়াল। তাঁরা জানিয়েছেন, সুবিচারের দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।