নিউজ ব্যুরো: মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। ওই রাজ্যটিতে বৃষ্টি-সম্পর্কিত ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ৫০। মঙ্গলবার সেই সংখ্যা বেড়েছে।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, “মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চলছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, হান্ডিগড়-শিমলা ৪ লেনের হাইওয়ে সহ অন্য বেশ কয়েকটি রাস্তা খোলা হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জোশিমঠে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুয়ায়ী, গত কয়েক দিন ধরে হিমাচলে অবিরাম বর্ষণ চলছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত রাজ্যটি। শিমলা, সম্বল, পান্ডোহর পরিস্থিত ভয়াবহ। মান্ডি জেলায় সাতজন সোমবার হড়পায় ভেসে গিয়েছেন। ভূমিধসের ফলে রাজ্যে ৭৫২টি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা বলেছেন, “জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) বৃষ্টি-বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে নিযুক্ত রয়েছে।” বৃষ্টি-বন্যার কারণে প্রাণহানির ঘটনাকে “অত্যন্ত দুঃখজনক” বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জনগণকে বাড়ির ভিতরে থাকার এবং নদীর ধারে না যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এই সংকটের সময় পর্যটকদের ওই রাজ্যে না যাওয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দেশের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশ কিছু অকল্পনীয় সংকট তৈরি হয়েছে। যাঁরা এই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁদের সকলের প্রতি আমি সহানুভূতি প্রকাশ করছি।”