সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: বাম জমানার পতনের পর থেকে ক্রমাগত সংগঠনে চিড় ধরেছে। বর্তমান সময়ে সংগঠনের শক্তি প্রায় তলানিতে। এর মাঝেও নতুন নতুন চিন্তাভাবনায় নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (এবিপিটিএ) নিজেদের সংগঠনকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে। নিশ্চিতভাবে যার মধ্যে অন্যতম লাটাগুড়ি ও কালিম্পংয়ের লাভাতে চুক্তির মাধ্যমে এবিপিটিএ’র হোমস্টে। যেখানে কম টাকায় সংগঠনের সদস্যরা ছুটির সময় ঘুরতে গিয়ে রাত কাটাতে পারবেন। পাশাপাশি সংগঠনের আর্থিক দুর্দশা কাটাতে সেটি পর্যটকদের ভাড়া দেওয়া হবে। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদক নবচন্দ্র দেব বলেন, ‘পাঁচ বছরের চুক্তিতে ৮টি ঘর নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকরা অনেকেই ছুটির সময় পাহাড়, ডুয়ার্সে ঘুরতে আসেন। সেক্ষেত্রে কম খরচে তাঁরা থাকতে পারবেন। প্রথম এবারই এবিপিটিএ’র নামে হোমস্টে নেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে লাভের চিন্তা করা হয়নি।’
ইতিমধ্যে লাটাগুড়ি ও কালিম্পংয়ের মল্লিতে মোট ৮টি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে একটি নির্দিষ্ট বুকিং নম্বর দেওয়া হয়েছে। যেখানে ফোন করে শিক্ষকরা সরাসরি হোমস্টের ঘর বুকিং করতে পারবেন। তাছাড়া, সংগঠনের জেলা সম্পাদকদের সঙ্গে শিক্ষকরা বুকিংয়ের বিষয়ে কথা বলে নিতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের নিরিখে দিঘাতেও হোমস্টে নেওয়ার বিষয়ে সংগঠনের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে খবর। সেখানে জায়গা বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই দিঘাতেও সংগঠনের নামে হোমস্টে চালু হবে।
চলতি বছর এবিপিটিএ ৯০ বছরে পা দিল। সেই উপলক্ষ্যে দার্জিলিং জেলা কমিটির শিলিগুড়ির সুভাষপল্লির কার্যলয়ে শনিবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগারের আবক্ষমূর্তির আবরণ উন্মোচন করা হয়েছে। সেখানে একটি ঘর রাজ্য কমিটি নিজেদের কাজের জন্য নিয়েছে। উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলার কাজ সেই অফিস ঘর থেকে দেখাশোনা করা হবে। পাশাপাশি বাইরে থেকে চিকিৎসা কিংবা জরুরি কাজের জন্য শিলিগুড়িতে এসে যাতে শিক্ষকরা বিনামূল্যে রাত কাটাতে পারেন, সেজন্য কার্যালয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা কার্যালয়ে আগে সেভাবে রাত কাটানোর ব্যবস্থা ছিল না।
দার্জিলিং জেলা নেতৃত্বের দাবি, বর্তমানে ৭০০-র বেশি শিক্ষক তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। নবচন্দ্র বলেন, ‘একটি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে আমাদের শিক্ষক সদস্যদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা করা হয়েছে। সংগঠন ৯০ বছরে পা দেওয়ায় বিমা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষকরা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা পাবেন।’