রায়গঞ্জঃ বসত বাড়ির জায়গা দখল নিয়ে দুই ভাইয়ের বচসা। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। আচমকা কোমর থেকে পিস্তল বের করে বুকে গুলি করে ভাইকে খুন করলো দাদা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে করণদিঘি থানার দোমোহনা গ্ৰাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর সংলগ্ন হলদিবাড়ি এলাকায়। গুরুতর জখম অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ভাইকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় করণদিঘী থানার পুলিশ ও জেলা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক।
জানা গিয়েছে, মৃত ভাইয়ের নাম মহন্মদ নিজামউদ্দিন (২৬)। পেশায় কৃষক। দীর্ঘদিন ধরেই বসত বাড়ির জমি নিয়ে বিবাদ ছিল দুই ভাই নিজামুদ্দিনের সঙ্গে মহম্মদ কলিমুদ্দিনের। মঙ্গলবারও একই বিষয়ে বিবাদ বাধে দুই ভাইয়ের। বিবাদ চরমে পৌঁছলে আচমকাই কলিমুদ্দিন পিস্তল বের করে গুলি চালিয়ে দেয় ভাই নিজামুদ্দিনের বুকে। অভিযুক্ত কলিমুদ্দিন পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। সে করণদিঘি থানায় কর্মরত।
মৃত যুবকের অপর এক দাদা মহন্মদ কাইম বলেন,“বাড়ির জমি নিয়ে গণ্ডগোল ছিল। আমরা মোট নয় ভাই। তার মধ্যে পাঁচ ভাই বাড়ির অদূরেই জায়গা কিনে একত্রিত ভাবে থাকি, অন্যদিকে চার ভাই পৈত্রিক বাড়িতে ভাগ বন্টন করে বসবাস করত। বসতবাড়ির তিন শতক জায়গা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। আর এই গণ্ডগোল থেকেই প্রাণ হারাতে হল ভাই নিজামুদ্দিনকে। পুলিশ সুপার মহন্মদ সানা আক্তার বলেন, “অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। আপাতত মৃতদেহ রাখা রয়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। বুধবার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে। গুলি দেহের ভিতরে রয়েছে। ময়নাতদন্ত হওয়ার পরেই গুলি বের হবে।”