উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ পুলিশের নজর এড়িয়ে গাড়িতে গাঁজা পাচারের চেষ্টা। হল না শেষ রক্ষা। পাচারের পথে গাঁজা সহ পাচারকারী ধরা পড়ে গেল পুলিশের হাতে। রবিবার সকালে পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নিউ জলপাইগুড়ি থানার অধীন ফ্লাইওভারের কাছে আমবাড়ি ক্যানাল রোডে আটক করে গাড়িটি। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ব্রাউন পেপারে মোড়া ২৬টি গাঁজার প্যাকেট। এই ঘটনায় এক গাঁজা পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাঁজা সহ গাড়িটিকে।
জানা গিয়েছে, গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কর্মীরা আমবাড়ি ক্যানাল রোডে একটি সাদা রঙের চার চাকার গাড়ি গাড়িকে আটক করে। সেই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ব্রাউন পেপারে মোরা ২৬টি পার্সেল উদ্ধার করে। দেখে বোঝার জো নেই ওই পার্সেলে রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার গাঁজা। পার্সেল গুলো খুলতেই বেড়িয়ে আসে গাঁজা। এরপরই গাড়িতে থাকা এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের নাম গোবিন্দ ঘোষ (৩৫ বছর)। সে মেটেলি থানার বাতাইগোল বাজার এলাকার বাসিন্দা তিনি। পুলিশ জানতে পেরেছে, গাড়িটিতে স্টেশন চৌপথী এলাকার প্রদীপ সরকার নামে আরও এক যুবকও ছিল। পুলিশের গাড়ি দেখে চলন্ত গাড়ি থেকে নেমেই পালিয়ে যায় সে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবিন্দর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোট ২৬টি ব্রাউন পেপারে মোড়া পার্সেলগুলিতে ছিল মোট ১৬১ কেজি ৮৯৫ গ্রাম গাঁজা। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৬ লক্ষ টাকা। গাড়ীর পিছনে একটি গোপন চেম্বারে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সেই পার্সেলগুলি। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত গাঁজা পাচারের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে। গাঁজা গুলি কোচবিহার থেকে আনা হচ্ছিল বিহারে পাচারের উদ্দেশ্যে। ধৃত পুলিশকে জানিয়েছে, কোচবিহারের কলাবাড়িঘাটের বাসিন্দা আইনুল হক নামে এক ব্যক্তি এই গাঁজা গাড়িতে তুলে দিয়েছে বিহারের নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ধৃতের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্টে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।