গাজোল: বেআইনিভাবে পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নার নন্দন গ্রাম এলাকায়। দিনেদুপুরে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে তিন বিঘারও বেশি জলাশয়। ইতিমধ্যে প্রায় তিনশো ট্রাক্টর মাটি ফেলা হয়েছে পুকুরে। মাটি ফেলে পুকুরের একাংশ ভরাটও করে দেওয়া হয়েছে। যদিও পুকুর মালিকের দাবি, মাটি ফেলে নীচু এলাকা ভরাট করছেন তিনি। তবে এভাবে যে ভরাট করা যায় না এই বিষয়টি জানা ছিল না তাঁর। খবর পেয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক।
ছয় মাস ধরে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, গতবছর পুকুর ও লাগোয়া এলাকায় দু’শো ট্রাক্টর মাটি ফেলা হয়েছে। আর গত কয়েকদিনে পুকুর বোজাতে ফেলা হয়েছে আরও অন্তত একশো ট্রাক্টর মাটি। স্থানীয় বাসিন্দা পূর্ণ রায় জানান, জলাশয়ের মালিক অরুনা সরকারের পুকুরের পাশেই হার্ডওয়ার সামগ্রীর দোকান রয়েছে। সেই ব্যবসা বাড়ানোর জন্যই পুকুর ভরাটের কাজ করছেন তিনি। সম্ভবত পুকুর ভরাট করে দোকানটি আরও বড় করে তৈরি করবেন। অন্যদিকে, এই জলাশয়ে মাছ চাষ হত। পুকুরটিও যথেষ্ট বড়। দৈনন্দিন কাজের জন্য গ্রামবাসীরা এই পুকুর ব্যবহার করেন। পুকুর ভরাটের ঘটনায় অসন্তুষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
যদিও পুকুরের মালিক অরুনা সরকারের বক্তব্য, ‘নিজের মালিকানাধীন জলাশয়ে গত বছর থেকে ধাপে ধাপে মাটি-ভরাট করছেন। এরজন্য কারও কোনও অনুমতি নেননি। এই বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা নেই।‘
গাজোলের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক বিশ্বজিৎ মণ্ডল জানান, পুকুর ভরাট সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ তিনি পাননি। সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকেই বিষয়টি জানতে পারেন। তবে অনুমতি ছাড়া নিজের জায়গা হলেও জলাশয় ভরাট করা যায় না। এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।