ঘোকসাডাঙ্গা: বধূ নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল স্বামী ও শ্বশুর। মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগ, একই গ্রামের যুবকের সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা, তারপর প্রেমিকাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ের চেষ্টা করলে গ্রামবাসীদের শালিসি সভার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে বাধ্য হয় প্রেমিক। কিন্তু বিয়ের তিনমাস যেতেই গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগে শুক্রবার ঘোকসাডাঙ্গা থানায় দ্বারস্থ হয় এক গৃহবধূ। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার স্বামী তন্ময় দাস ও শ্বশুর গোবিন্দ দাসকে গ্রেপ্তার করে মাথাভাঙ্গা আদালতে পাঠায় ঘোকসাডাঙ্গা থানার পুলিশ। বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অর্পিতা দাস নামে ওই গৃহবধূর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালাতে শুরু করে। প্রায় প্রতিদিনই মারধর, কখনও অর্ধাহারে, কখনও গৃহবন্দী করে রেখে অত্যাচার চালাত। এমনকি তাঁর শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হত বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারও গৃহবধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা ও স্থানীয় মহিলারা তাঁকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে গেলে তাদেরকেও গালাগাল করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপরই গোটা ঘটনা জানিয়ে শুক্রবার ঘোকসাডাঙ্গা থানায় স্বামী, শ্বশুর শাশুড়ি সহ চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বধূ নির্যাতনের একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।