শিলিগুড়ি: সন্তান জন্মের পর থেকেই বাড়ির বৌকে যৌন ব্যবসায় নামানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন খোদ স্বামী ও শাশুড়ি। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ইতিমধ্যেই ওই তরুণী স্বামী-শাশুড়ি সহ তিনজনের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই তরুণী জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ এসেছিল। তবে তারপর আবার সেই একরকম।’ শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি (হেড কোয়ার্টার) তন্ময় সরকার জানিয়েছেন, ‘সবদিকটাই আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রেম করেই বিয়ে হয় ওই তরুণীর। শ্বশুরবাড়ি যৌনপল্লী এলাকায় হওয়ায় বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। দম্পতির পাঁচ মাসের এক সন্তানও রয়েছে। যদিও সন্তান হওয়ার পরেই বদলে যায় যাবতীয় পরিবেশ। ওই তরুণী বলেন, ‘যৌনপল্লির কিছুটা দূরেই আমার বাপের বাড়ি। আগে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করলেও পরবর্তীতে কাজ ছেড়েই বিয়ে করেছিলাম। সন্তান হওয়ার পর থেকেই মানসিক ও শারিরীকভাবে ওরা আমার ওপর অত্যাচার শুরু করে। খরচা, খাওয়া-দাওয়া সমস্তটাই বন্ধ করে দেয়।’ তরুণীর অভিযোগ, শাশুড়িও দেহ ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত। শাশুড়ির এক খদ্দেরও এই ব্যবসায় তাঁকে নামাতে চেয়ে অত্যাচার করত। পরিস্থিতি এমনই হয় যে বাঁচার জন্য ওই তরুণী তাঁর পাঁচ মাসের সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গোটা বিষয়টাই কানে গিয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পিন্টু ঘোষের। তিনি বলেন, ‘ওই তরুণী আমার কাছে এসেছিল। পুলিশে উনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে কেউ যাতে জোর করে কাউকে ওই কাজে নামাতে না পারে, সেদিকে আমাদের সবসময় নজর রয়েছে।’