হেমতাবাদ: পরকীয়ায় মত্ত স্ত্রীকে হাতেনাতে ধরলেন স্বামী। আর সেই লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ। হেমতাবাদ থানার নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালন গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার নাম মনসুরা খাতুন (২১)। রবিবার রাতে তিনি বিষ খান। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহারাইলের বাসিন্দা মনসুরা খাতুনের সঙ্গে নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মালন গ্রামের আলম আলির বিয়ে হয়। তাঁদের দুই বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। আলম হরিয়ানার যমুনা নগরে প্লাইউড কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস চারেক ধরে আলমের স্ত্রী মনসুরা তাঁর বাবার বাড়ির গ্রামের যুবক রুস্তম আলির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আলম প্রতিমাসে স্ত্রীকে ১০ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। সেই টাকা সংসারে খরচ না করে ওই বধূ তাঁর প্রেমিককে দিতেন বলে অভিযোগ। দিন দশেক আগে হরিয়ানা থেকে বাড়ি ফেরেন আলম। টাকার হিসাব চাইলে তাঁর স্ত্রী হিসেব দিতে পারেননি। এরপর স্ত্রীর ওপর সন্দেহ হয় তাঁর।
রবিবার বিকেলে হাটে যাওয়ার নাম করে পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকেন আলম। বাড়িতে স্বামী না থাকায় বধূ তাঁর প্রেমিক রুস্তম আলিকে ডেকে আনেন। সেটা লক্ষ্য করে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসেন আলম। তিনি স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন।
সেই লজ্জায় গতকাল রাতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই বধূ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। সোমবার মেডিকেলে মৃত্যু হয় মনসুরার।
এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হলেও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানা। বধূর প্রেমিক রুস্তম আলির বিরুদ্ধে হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মনসুরার স্বামী। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।