কুশমণ্ডি: স্ত্রীর কাছে বারবার টাকা চেয়েও পায়নি স্বামী। অবশেষে রাগের মাথায় ফাঁকা দইয়ের সরা ছুঁড়ে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কুশমণ্ডি ব্লকের বেরইল পঞ্চায়েতের ডোমনাহার গ্রামে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পলাতক বলে জানান কুশমণ্ডি থানার আইসি তপন পাল। মেয়ের মৃত্যুর পর জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলার বাবা গোলাপ হোসেন।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম নাসিমা খাতুন(২৮)। বাবার বাড়ি ইটাহার থানা এলাকার দিগনা গ্রামে। ২০১৩ সালে ডোমনাহার গ্রামের ওয়াজেদ আলির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি ছয় বছরের মেয়ে রয়েছে। রবিবার ওয়াজেদ আলির মা বাটুলি বিবি জানান, ১০ বছরে কতবার ছেলে ও বৌমার মধ্যে ঝগড়া হয়েছে তার হিসেব নেই। তবে কোনদিন মারিমারি হয়নি। এবার সবকিছু ছাপিয়ে যায়। রাগের মাথায় ছেলে মাটির সরা ছুড়ে মেরেছিল। তাতেই সব শেষ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে। উপার্জনের সব টাকা বউয়ের কাছেই রাখত সে। শুক্রবার সকালে কাজে যাওয়ার আগে বউয়ের কাছে কিছু টাকা চায়। কিন্তু নাসিমা তা দিতে অস্বীকার করে। টাকা না পেয়ে নাসিমাকে চড় মারে ওয়াজেদ। এরপর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে নাসিমা। এরপরই রাগের মাথায় দইয়ের ফাঁকা সরা স্ত্রীকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে। ঘটনার পরই তড়িঘড়ি নাসিমাকে এলাকার কোয়াক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় নাসিমা খাতুনের। ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত ওয়াজেদ সহ পরিবারের বাকি পুরুষরা বর্তমানে পলাতক। পুলিশ ওয়াজেদের মা বাটুলি বিবিকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার তাকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।