উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুক্রবার কামদুনি ধর্ষণ এবং হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাই কোর্ট। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। নিম্ন আদালতে আর এক ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি আমিন আলি হয়ে গেলেন বেকসুর খালাস। কামদুনি গণধর্ষণকাণ্ডে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে নিহত তরুণীর পরিবার।
কলকাতা হাইকোর্টে রায় ঘোষণার পর আদালতেই কান্নায় ভেঙে পরতে দেখা যায় কামদুনির দুই প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল ও টুম্পা কয়ালকে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। এদিন রায় ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমের কাছে নির্যাতিতার ভাই হাইকোর্টের রায়ের জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেন। তার অভিযোগ, রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত তাঁর দিদির ধর্ষক ও খুনিরা ছাড়া পেয়ে গেলেন।
এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা বিচার পেলাম না। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও গাফিলতিতে আর এই রায় হল। রাজ্য সরকারের ১৪ জন আইনজীবী এই মামলা লড়তে অস্বীকার করেছেন। যার ফলে আজ ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা মকুব হল। ১ জন বেকসুর খালাস পেল। এরা এলাকায় গিয়ে আবার তাণ্ডব করবে। আমরা এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাব। আমাদের লড়াই জারি থাকবে’।