মাটিগাড়া: গুজবে কী না হয়! ১৯৯৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর। গণেশের দুগ্ধপানের গুজবে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। এবার গণেশের পিতা মহাদেবের বাহন নন্দীর দুধ খাওয়ার গুজব ছড়াল মাটিগাড়া ব্লক শিবমন্দির মেডিকেল মোড়ের একটি কালী মন্দিরে। বুধবার মন্দিরে দেখা গেল নন্দীকে দুধ ও জল খাওয়াচ্ছেন ভক্তরা। ঘটনার কথা আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই মন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে।
স্থানীয় হরি ঘোষ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এমন ঘটনা আগে শুনলেও, এই প্রথম চোখে দেখা। সত্যি আশ্চর্য ঘটনা’। শুধু মাটিগাড়া নয় সপ্তাহখানেক থেকে শিলিগুড়ি দক্ষিণ শান্তিনগরের একটি মন্দিরে শিবলিঙ্গকে দুধ খাওয়ানোর একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বলে জানান সোনিয়া সাহানি নামে এক তরুণী। তবে বাস্তবে পুরোটাই যে কুসংস্কার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজ্ঞানমনস্করা। এবিষয়ে পাথরঘাটা হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ পবিত্রকুমার বর্মন বলেন, ‘অযথা গুজবে কান না দিয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং বিজ্ঞানসম্মত ব্যখ্যা গ্রহণ করতে হবে।’
উত্তরবঙ্গ বিজ্ঞানকেন্দ্রের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ঋতব্রত বিশ্বাস ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘সারফেস টেনশন বা পৃষ্ঠটানের জন্য অনেকসময় এই ধরনের ঘটনা ঘটে। মূলত পৃষ্ঠটানের জন্য পাথরের তৈরি যে কোনও মূর্তির গায়ে দুধ, জল বা কোনও তরল ঠেকিয়ে ধরলে, তা শুষে নেয়। আবার অনেক পাথরে ছোট ফুটো থাকে, সেগুলিও অনেক সময় তরল শুষে নেয়। এই প্রক্রিয়াগুলি ‘ক্যাপিলারি অ্যাকশন’ ও ‘সারফেস টেনশন’ নামে পরিচিত।’