উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্যালেস্তাইনিদের মুক্তি দেওয়া হলেই বন্দি থাকা ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া হবে। বন্দি মুক্তি ইস্যুতে ইজরায়েলের ওপর এমনই শর্ত আরোপ করল হামাস জঙ্গী গোষ্ঠী। শনিবার এক প্রেস বিবৃতি জারি করে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বন্দি মুক্তি নিয়ে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হামাসের এজেদিন আল কাশেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা। এই হুঁশিয়ারির পর থেকে গাজায় ঢুকে হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।
শনিবার হামাসের তরফে এজেদিন আল কাশেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, যদি ইজরায়েলের জেল থেকে সমস্ত প্যালেস্তাইনিদের মুক্তি দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরাও তাঁদের হেফাজতে বন্দি থাকা ইজরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকদের মুক্তি দেবে। ইজরায়েলের উদ্দেশে ওবেইদা বলেছেন, “আমরা বন্দি আদান-প্রদানের প্রস্তাব দিচ্ছি। যদি ইজরায়েল অবিলম্বে তাদের জেলে বন্দি থাকা সমস্ত প্যালেস্তাইনিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে হামাসও তাঁদের হেফাজতে থাকা সমস্ত বন্দিদের মুক্তি দেবে।” শনিবার সকালে হামাস আটজন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়ার অনুরোধে। যাঁদের কাছে রাশিয়া-ইজরায়েল দুই দেশের নাগরিকত্বই রয়েছে।
উল্লেখ্য, মস্কোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে হামাসের। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই প্যালেস্তাইনের পাশেই রয়েছে রাশিয়া। যদিও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ইজরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। এমনকী হামাসকে কোনওরকম সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তকমাও দেয়নি মস্কো। তাই শনিবার রাশিয়ার তরফে তাঁদের নাগরিকত্ব থাকা এমন বন্দিদের মুক্তির অনুরোধ জানালে সঙ্গে সঙ্গে তা মেনে নেয় হামাস। তবে এবার তাঁরা আরও বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এদিকে, ইজরায়েলের দাবি, তাঁদের লাগাতার আক্রমণে হামাস পিছু হঠছে। তাই হামাস প্যালেস্তাইনিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য এখন বিনিময় প্রস্তাব দিচ্ছে। ইজরায়েলের লাগাতার আক্রমণে হামাসের একাধিক শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়েছে বলেও আইডিএফের তরফে দাবি করা হয়েছে। আকাশপথের পাশাপাশি গাজায় ঢুকে স্থলপথেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। বর্তমানে গাজা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। হামাসের পালটা দাবি, কোনও ক্রমেই ইজরায়েল সেনার কাছে তাঁরা নতিস্বীকার করবেন না। তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত।