উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একজন বলছেন ‘হবু স্ত্রী’ অন্যজনের দাবি শুধুই ‘বন্ধুত্ব’। কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক তা বিচার করার দায়িত্ব আমজনতার না থাকলেও শুক্রবার আচমকা খবরের শিরোনামে উঠে আসা তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার এবং তৃণমূলের যুব নেতা প্রতীক দের সম্পর্কের টানাপড়েন যেন এখন চর্চার বিষয় গোটা রাজ্যে। পাপিয়া হালদার দাবি করেছেন, বাড়ির বাইরে বের হলেই নানা কটূ মন্তব্য শুনতে হচ্ছে। যা কিনা যথেষ্টই অস্বস্তিকর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাপিয়ার আদি বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার লক্ষীকান্তপুরে৷ বাবা কলকাতা পুলিশের কর্মী। সেই সুত্রে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাস। পদ্মমণি গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করে বোসপুকুর কলেজ থেকে স্নাতক হন এই তৃণমূল কাউন্সিলর। ২০১৬ সাল থেকে এলাকার কো-অর্ডিনেটর হওয়ার সুবাদে ওয়ার্ড দেখভাল শুরু করেন প্রতীক। পাপিয়ার বাড়ির সামনে পুরসভার ড্রেনের কাজের তদারকি করতে গিয়ে প্রথম আলাপ। এরপর ফেসবুকে বন্ধুত্ব। সেই বছরই সরস্বতী পুজোর দিন দেখা করা। স্থানীয়রা যাই বলুক, পাপিয়া বলছে তাঁদের নাকি শুধুই বন্ধুত্ব ছিল।
অন্যদিকে, প্রতীক বলছে, ‘২০২২-র ৫ জানুয়ারি আমি ওঁকে রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে এসেছিলাম। বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে আমি ওঁকে নিজের হবু স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। এই সম্পর্কের অবনতির পিছনে তৃতীয় ব্যক্তি রয়েছেন।’