রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: প্রতারণার(Fraud) ছক একইরকম। কিন্তু বদলেছে টাকা হাতানোর পদ্ধতি। নিজেদের বাঁচাতে প্রতারকরা এবার সরাসরি কর্মীদের নামে তৈরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা নিচ্ছে। নতুন পদ্ধতিতে ফার্মাসিটিকল কোম্পানির নাম করে চালানো হচ্ছে অবৈধ কলসেন্টার (Siliguri Call Center)। অভিযোগ, মাটিগাড়ার ওয়েবেল আইটি পার্কে এই ধরনের অবৈধ কলসেন্টার চলছে। কর্মীদের নামে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে নেওয়া হচ্ছে প্রতারণার টাকা। এদিকে, কর্মীদের ভুয়ো পরিচয় পত্রও তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিতেই এই পন্থা বেছে নিয়েছে অভিযুক্তরা। তাই অবৈধ উপায়ে কলসেন্টার চালানো হলেও সহজে ধরা পড়ছে না কারবারিরা।
শিলিগুড়ি শহরজুড়ে একসময় অবৈধ(Illegal) কলসেন্টারের রমরমা কারবার ছিল। শিলিগুড়িতে বসে হরিয়ানা, মুম্বই, দিল্লি সহ বাইরের রাজ্যগুলিকে প্রতারণা করা হত। পাশাপাশি বিদেশেও প্রতারণা করা হত। দেশের অভ্যন্তরে যে প্রতারণা হত তা ছিল মূলত প্রেমের ফাঁদে ফেলা বা যৌনতার লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করা। বিদেশে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নাম করে প্রতারণা করা হত। শিলিগুড়ি পুলিশ অভিযান শুরু করতেই কারবার গুটিয়ে গ্রামের দিকে চলে যায় কিছু কলসেন্টার। তবে যারা বিভিন্ন সংস্থা বা কোম্পানির নামে প্রতারণা করত তারা মূলত ওয়েবেল আইটি পার্কেই ব্যবসা চালাত। তবে মাঝে একবার সিআইডি এবং একবার শিলিগুড়ি পুলিশের অভিযান হওয়ার পর কিছুদিন অবৈধ কলসেন্টারগুলি বন্ধ ছিল। কিন্তু নতুন করে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এই কলসেন্টারগুলি।
অভিযোগ, ওষুধ কোম্পানির নামে চালানো হচ্ছে কলসেন্টার। সেখানে কর্মীদের নাম, পরিচয় বদলে পরিচয়পত্র তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নামে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টও খোলা হচ্ছে। এরপর সেখানে লেনদেন করা হচ্ছে। রবিবার মধ্যেরাতে শিলিগুড়ির সিটি সেন্টারে তিনতলার করিডর থেকে পড়ে যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে সেও ওয়েবেলে কলসেন্টারেই কাজ করত। সরকারি নথি অনুযায়ী তাঁর নাম করণ নায়েক হলেও কলসেন্টারের পরিচয় পত্রে নামছিল করণ কুমার। বাড়ি জয়গাঁওতে হলেও ঠিকানা দেওয়া ছিল প্রধাননগর এলাকার। একটি ওষুধের কোম্পানির নামে চলা কলসেন্টারে কাজ করত ওই যুবক। তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।