শিলিগুড়িঃ টাকা নিযে আধার কার্ড তৈরি করার অভিযোগ উঠল পোষ্ট অফিসের এক পিয়নের বিরুদ্ধে। ঘটনায নাম জড়াল স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের কর্নধারের। এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন সন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাগলার হাট পোষ্ট অফিসের পিয়ন মনা রায়। তাঁর যুক্তি, বেসরকারি বিদ্যালয়ের কর্নধার আলি মঞ্জুর আমাকে শিবির করার অনুরোধ করেছিল। এই কাজে অনেকদূর যেতে হয়েছিল বলেই প্রত্যেকের কাছ থেকে দুশো টাকা করে নিয়েছিলাম। অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলের কর্ণধার আলি মঞ্জুরের সাফাই, গ্রামের মানুষকে শিলিগুড়ি গিয়ে পরিষেবা নিতে হয়। সেই কারনে বাসিন্দাদের সুবিধার জন্যেই আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের শিবির করতে বলেছিলাম।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় বালাবাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিবির করে আধার কার্ড তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই শিবিরেই গ্রাহকদের কাছ থেকে নতুন আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেই প্রতিবাদে সরব হন বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলেই সেই পিয়নের সঙ্গে বচসায় জড়িযে পড়েন স্থানীয় সিপিএম নেতা সৌকত আলি। কিসের জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে কিংবা আধার কার্ড তৈরির শিবির করার কোনও অনুমোদন আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সৌকত। এলাকায় ঘটনাটি চাউর হতেই বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয। অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে তড়িঘড়ি সরে পড়েন সেই অভিযুক্ত পিয়ন। অভিযুক্ত পিয়ন আধারকার্ড তৈরির ইউজার আইডি-পাসওযার্ড কোথা থেকে এল তারও সদুত্তর মেলেনি।
এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার হেড পোষ্ট অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট রোশন হেমব্রমের বক্তব্য, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ কোনার বলেন, এরকম কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ব্লক প্রশাসনের তরফে বিষয়টির খোঁজ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে সুত্রের খবর।
