উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১০ বছরের জেল। সাজা দিল পাকিস্তানের আদালত।দেশের গোপন তথ্য পাচার করার অভিযোগে তাঁকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ইমরান খানকে। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে পাকিস্তানের আদালতে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক চিঠি বেহাত হয়েছে ইমরানের কাছ থেকে। যদিও ইমরান এই অভিযোগের পাল্টা বহুবার বলেছেন, চিঠি সংক্রান্ত পুরো বিষয়টিই একটি ষড়যন্ত্র। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্যই ওই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
ইমরানের বিরুদ্ধে করা হয়েছে সাইফার মামলা। কী এই সাইফার মামলা? ইমরানের কাছে থাকা গোপন কূটনৈতিক তথ্যকে বলা হয় সাইফার। এই তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে।২০২২ সালের মার্চে, ওয়াশিংটনের পাকিস্তান দূতাবাস থেকে পাঠানো হয়েছিল ওই সাইফারটি। কিন্তু, ইমরান খান সেই কূটনৈতিক তথ্য হারিয়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ। ইমরান খান এবং মাহমুদ খুরেশি, দুজনেই এই অভিযোগকে পাকিস্তানে পিটিআই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরই, ইমরান এবং তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।