উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলা এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ১১ জন অপরাধীর সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সিবিআই ও নিম্ন আদালত অপরাধীদের মুক্তি নিয়ে বদল করেছিল নিজেদের অবস্থান।মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র পরীক্ষা করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুইয়াঁর ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিল।গোধরা পরবর্তী হিংসায় দেবগড় বারিয়ার গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষী রাধেশ্যাম ভগবানদাস শাহকে মুক্তি দেওয়ার আগে শীর্ষ আদালত সিবিআই ও মুম্বাই ট্রায়াল কোর্টের মতামত জানতে চায়। মুম্বাই ট্রায়াল কোর্টের বিচারক প্রথমে রাধেশ্যাম-সহ ১১ অপরাধীর মুক্তির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করলেও ২০২২ সালে জুন মাস নাগাদ গুজরাট সরকারের বিবেচনার উপর ছেড়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ মুম্বাই ট্রায়াল কোর্ট রাধেশ্যাম সহ ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারদন্ডের সাজ দিয়েছিল বিলকিস গণধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে খুনের অভিযোগে। ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট গুজরাট সরকার ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সিদ্ধান্ত নেয় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার।ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা মুক্তির জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই আদালত গুজরাট সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল অপরাধী নিয়ে। এই ১১ জন অপরাধীর মুক্তির সপক্ষে আদালতে প্রশ্ন তুলেছিল গুজরাট সরকার।এরপরই ১১ জনকে ছাড়ার ছাড়পত্র মেলে সুপ্রিম কোর্টে। মুক্তির পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব নাকি অপরাধীদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন, যা নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়।