উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত মমতার কথাতেই পড়ল সিলমোহর।বিজেপিকে হারাতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রদেশ সভাপতিদের নির্দেশ দিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট বললেন, যদি প্রদেশ জোট জটিলতা কাটাতে না পারে তাহলে তিনি নিজে সেবিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন।
হায়দরাবাদে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক। দলীয় সুত্রে জানা যাচ্ছে, কর্মসমিতির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে সব রাজ্যের সভাপতি ও চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হাজির থাকবেন। প্রথমদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে কংগ্রেসের ভূমিকা, অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি, জোট প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে দলের ভূমিকা ঠিক কি হবে বা হতে পারে তা নিয়ে। একই সঙ্গে নজরে থাকবে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে দলের রণকৌশল এবং প্রচার পদ্ধতি। রাজনৈতিক মহলের নজর অবশ্য ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে রাহুলের দল কি ভূমিকা নেয় সেদিকে।
অন্যদিকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বেনুগোপাল কে চন্দ্রশেখর রাওকে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে মোদি বিরোধী হিসাবে নিজেকে তুলে ধরলেও আদতে তিনি বিজেপির বন্ধুর ভূমিকা পালন করেন। সেই কারণেই বিআরএস ‘ইন্ডিয়া’ জোটে যোগ দেয়নি। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিআরএসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও লালু পুত্র তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।শুক্রবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল বলেছিলেন জোটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ঘর থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।সুতরাং সকলের নজর বৈঠকের দ্বিতীয় দিনের দিকে। কারণ লোকসভার আগে কংগ্রেস হাইকমান্ড ‘ইন্ডিয়া’ নিয়ে কি বার্তা দেন সেদিকে।সুত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুত্রকেই মান্যতা দিয়ে রাহুল বলেছেন প্রথমে প্রতিটি রাজ্যে আসন সমঝোতা করার দায়িত্ব প্রদেশ নেতৃত্বের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।আর না মানলে আসরে নামবেন খোদ রাহুল।