শিলিগুড়ি: অভিযোগ, তৃণমূলের কথায় জয়ী প্রার্থীকে শংসাপত্র দিচ্ছিল না প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত আত্মাহুতির হুমকি দিয়ে জয়ের শংসাপত্র আদায় করতে হল ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯/৩১০ নম্বর বুথের নির্দল প্রার্থী নুর আলমকে।
এই আসনে (West Bengal Panchayat Election 2023 Result) তৃণমূলের প্রার্থী অঞ্চল সভাপতি রবিউল করিম ওরফে বকুল। এলাকার দাপুটে এই নেতার বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেন সাদ্দাম হোসেন। যদিও সাদ্দামের অভিযোগ, রিটার্নিং অফিসার তৃণমূলের কথায় অবৈধভাবে তার মনোনয়ন বাতিল করে দেন। এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু পরে উপায় না থাকায় তৃণমূলকে হারাতে অপর নির্দল প্রার্থী নুর আলমকে সমর্থন করেন তিনি। এই আসনে এসইউসিআই প্রার্থী দিলেও মূল লড়াই দাঁড়ায় নির্দল ও তৃণমূলের মধ্যে। এদিন গণনা শেষে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও তৃণমূল পুনরায় গণনার দাবি জানায়। সেখানেও একই ব্যবধান দেখা যায়। নির্দল সমর্থকদের অভিযোগ, ‘তৃণমূল প্রার্থী হার স্বীকার করে নিলেও দলের উপর মহল সম্মান রক্ষার জন্য ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায়। তৃণমূলের কথায় সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ আটকে দেওয়া হয়। সার্টিফিকেট দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করা হতে থাকে।’
দীর্ঘক্ষণ এই টালবাহানা চলতে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বামেরাও। স্থানীয় সিপিএম নেতা দেবাশিস অধিকারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই আসনটি নিয়ে প্রথম থেকেই তৃণমূল প্রশাসনকে ব্যবহার করেছে। যদিও শেষ রক্ষা তারা করতে পারেনি। জনগণের রায়ে আমাদের সমর্থিত প্রার্থী জয়ী হয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা এমন চলতে থাকার পর অবশেষে নির্দল প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য চায়। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষ থেকেও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা হয়। এরপরেই নির্দল প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হয়। যদিও তৃণমূলের তরফে প্রশাসনকে ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।