বীরপাড়া: নির্দল প্রার্থী হিসেবে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো গোঁজ প্রার্থীদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বুধবার বীরপাড়ায় সাফ জানালেন তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইক। প্রকাশের কথায়, ‘ভোটের পরই এদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই রেয়াত করা হবে না।’ প্রকাশের বার্তায় স্পষ্ট, বিভিন্ন কমিটির পদ তো দূরের কথা দলের ন্যূনতম সদস্যপদও হারাতে চলেছেন তৃণমূলের একঝাঁক নেতা কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেন দলেরই বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা। এদের মধ্যে কেউ কেউ তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন। যেমন বীরপাড়া ১নম্বর অঞ্চল কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল পাল দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রীকে গ্রামপঞ্চায়েতের আসনে দাঁড় করিয়েছেন। খয়েরবাড়িতে দলের গ্রামপঞ্চায়েতের প্রার্থী তথা ব্লক সহসভাপতি ইউসুফ আলির বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী হয়েছেন যুব তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সহসভাপতি সাবির আলম। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে বীরপাড়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, একবার নির্দল বা গোঁজ প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়লে তাঁকে আর কিছুতেই তৃণমূলে নেওয়া হবে না। বুধবার অভিষেকের কথার পুনরাবৃত্তি করলেন প্রকাশ।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত ভোট প্রকাশের কাছে বিরাট বড়ো চ্যালেঞ্জ। তবে প্রকাশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলেরই বিক্ষুব্ধরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গোঁজদের সমর্থনে জোরদার প্রচার লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতেই চিন্তা বেড়েছে তৃণমূলের। কারণ, এতে তৃণমূলের ভোট বিভাজন হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে, বিজেপি তো বটে সুবিধা পেয়ে যেতে পারেন বামফ্রন্টের প্রার্থীরাও।